0.2 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

ভুয়া কনটেন্ট মোকাবিলায় কানাডিয়ান নোবেল বিজয়ীর ধারণা

ভুয়া কনটেন্ট মোকাবিলায় কানাডিয়ান নোবেল বিজয়ীর ধারণা
প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি বিভিন্ন ভিডিও ভয়েস ও ইমেজ সত্যিকারের কিনা সেটা বলা ক্রমেই আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রদূত ও কানাডিয়ান নোবেল বিজয়ী জিওফ্রি হিন্টন

প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি বিভিন্ন ভিডিও, ভয়েস ও ইমেজ সত্যিকারের কিনা সেটা বলা ক্রমেই আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রদূত ও কানাডিয়ান নোবেল বিজয়ী জিওফ্রি হিন্টন। তবে এই যুদ্ধে সহায়তার জন্য তার একটি ধারণা আছে। ভুয়া তথ্য মোকাবিলা করা যেতে পারে বলে মনে করেন ব্রিটিশ-কানাডিয়ান এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

হিন্টন লেকচারসের উদ্বোধনী বক্তব্যে হিন্টন বলেন, একটা সময় আমার মনে হয়েছিল যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সৃষ্ট কনটেন্ট শনাক্ত করা যাবে বলে আমি মনে করেছিলাম। এখন এগুলোর কোডিং এবং কিছু ওয়েবসাইটে গিয়ে এবং ওয়েবসাইটগুলোতে একই জিনিস দেখার মধ্য দিয়ে সেটা আরও বেশি করে সম্ভব বলে আমি মনে করি।

- Advertisement -

তার যুক্তি এই পদ্ধতি কনটেন্ট এবং রাজনৈতিক ভিডিও বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ এলে যেসব ইমেজ সেগুলো যে ভুয়া নয় সেটা যাচাই করে দেখবে। হিন্টন বিষয়টির ব্যাখ্যা করে বলেন, ওয়েবসাইটে কিউআর কোডের মতো কিছু একটা থাকবে এবং ওই ওয়েবসাইটে যদি একই ধরনের কোনো ভিডিও থাকে তাহলে ওই ওয়েবসাইটকে সত্যিকারের বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।

অধিকাংশ কানাডিয়ান অনলাইনে ডিপফেক চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ প্রতি সপ্তাহে তার মুখোমুখি হন। টরন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির পাবলিক পলিসি অর্গানাইজেশন ডাইসের পরিচালিত সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে। গত এপ্রিলে ২ হাজার ৫০১ জন কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি পরিচালনা করে সংস্থাটি।

ডিপফেক হচ্ছে ডিজিটাল উপায়ে বিকৃত করা ছবি অথবা ভিডিও, যাতে এমন সব দৃশ্য থাকে যা আদতে ঘটেনি। সাম্প্রতিক ডিপফেকে পোপ ফ্রান্সিসকে ব্যালেন্সিয়াগা পাফার জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় তুলে ধরা হয়েছে এবং পপ স্টার টেইলর সুইফটেও দেখানো হয়েছে বিকৃত অবস্থায়।

দ্য হিন্টন লেকচারস হচ্ছে গ্লোবাল রিস্ক ইনস্টিটিউট আয়োজিত দুই রাতের অনুষ্ঠান। এটির ভেন্যু হচ্ছে টরন্টোর জন ডব্লিউ. এইচ. বাসেট থিয়েটার। প্রথম রাতের অনুষ্ঠানে ছিলেন এআইয়ের গডফাদার হিসেবে পরিচিত হিন্টন। তিনি বলেন, এআই দুর্ঘটনাবশত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। পাশপাশি চাকরিহীনতা ডেকে আনতে পারে এবং সাইবার অপরাধ, বৈষম্য ও বায়োলজিক্যাল ও অস্তিত্ব্রে ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।

গণিত, প্রোগ্রামিং ও হ্যাকিংয়ের প্রসঙ্গে এলে ২০৩০ সাল নাগাদ এআই সুপারহিউম্যান হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন হিন্টন। একই সঙ্গে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলও সম্মতি উৎপাদন অথবা বিকৃত করতেক সক্ষম হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles