
যেসব অঞ্চলে ভ্যাকসিনেশনের হার এখনও নিম্ন সেসব এলাকায় আরও কর্মী মোতায়েনের লক্ষ্যে নগরীর ৯টি গণ ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিকের চারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নগরীর ১২ বছরের বেশি বয়সী যে ১৮ শতাংশ নাগরিক এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনেশনের বাইরে রয়েছেন তাদেরকে এর আওতায় নিয়ে আসার সর্বশেষ কৌশলের অংশ এটি। এই কৌশলের আওতায় এ সপ্তাহে মেইন স্টেশন ও ভিক্টোরিয়া পার্ক স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত ইস্ট টরন্টো হেলথ পার্টনার্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিক দুটি স্থাপন করা হয়।
নগরীর গণ ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিকের তুলনায় পপ-আপ ক্লিনিকের আকার তুলনামূলকভাবে ছোট। তারপরও মঙ্গলবার প্রায় ২০০ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এ ক্লিনিকে। এদিন ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের অধিকাংশই নেন প্রথম ডোজ। ভিক্টোরিয়া পার্ক স্টেশনের ক্লিনিক পরিদর্শন শেষে টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ পাননি অথবা আগ্রহী নন তাদের জন্য এ ধরনের ক্লিনিকের দরকার আছে। অন্য যেকোনো এলাকার তুলনায় এখানে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতার অনুপাত অনেক বেশি। এটা ভালো দিক। কারণ, সাবওয়ে স্টেশনে আগতদের কাছে সহজপ্রাপ্য করে তোলায় আগে যারা ভ্যাকসিন নেননি তারা এখন নিচ্ছেন। সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে পপ-আপ ক্লিনিক স্থাপন করতে হবে। তাহলে লোকজন ভ্যাকসিন নেবেন।
টরন্টোতে এখনও প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার ডোজের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে গ্রীষ্মের শুরুর দিককার তুলনায় ভ্যাকসিন গ্রহণের হার অনেকটাই কমে গেছে। টরন্টোর ৭৫ শতাংশ নাগরিক এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ করেছেন।
ভ্যাকসিনের বাইরে থাকা ১২ বছরের বেশি বয়সীদের এর আওতায় আনাটা কঠিন হবে বলে স্বীকার করেন মেয়র জন টরি। তিনি বলেন, তবে সিটি কর্তৃপক্ষ তার কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে অন্যান্য টিটিসি স্টেশনেও ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক বসানোর আসা করছে।