
ডাক্তার প্রফেসার মোহাম্মদ হাানিফ এখন স্বস্ত্রীক টরন্টোতে। আজ ফিরছেন ইংল্যান্ড লন্ডনে,তারপর ক’দিন পর দেশে।
অবাক লাগে তার এখন সব চেয়ে জরুরী থাকা উচিত ছিলো দেশে। হয়তো সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হয়ে। এই কথা শুধু আমি নই যারাই তাকে চেনে সবাই তাই মনে করবেন। এমন কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কি বাংলদেশে আছেন যিনি শিশুদের প্যারাসিটামল সিরাপে বিষ জাতীয় জিনিষ মেশানো ছিলো তা নিজের খরচে সরকারের অমতে আমেরিকান ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে প্রমাণ করেন যে এই কারণে বছরে শত শত শিশু মারা যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবে দেশের বড় ছোট অনেক ঔষধ কোম্পানী রাতারাতি তার প্রাণের দুুশমন হয়ে উঠলো। নানা ভাবে বড় অংকে আপোষ করতে চাইলো। ডক্তার প্রফেসার হানিফকে ম্যানেজ অম্ভব।
কোম্পানীর লেলিয়ে দেয়া ভাড়াটে খুনীর হামলায় বারবার একটুর জন্যে বেঁঁচেছেন তবুু টলেননি। দেশ ছেড়ে বিদেশে লোভনীয় কাজে আমন্ত্রণে পালিয়েও যায়নি। প্র্রায় একযুগ ১২টি বছর দেশে কোর্ট কেসে যুদ্ধ করেছন শক্তিধর ঔষধ কোম্পনীদের সঙ্গেে। বারবার ডেইলী স্টার প্রথম আলো ইত্তেফাক যুগান্তর সহ সব দৈনিকের প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় তার এই অসম যুদ্ধের নিউজ ছাপা হয়েছে। টিভি চ্যানলে সাক্ষাৎকার দিয়ে কালো কাঁচে ঢাকা গাড়িতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
সরকার পছন্দ ব্যক্তিরা করণে অকারণে গানম্যান সুরক্ষা পেতেন তখন,তার প্রাণের কথা সরকার এড়িয়ে গেছেে। তবুু ভয়াববহ একযুগ পার করে বেশ কয়েকটা কোম্পানীর বিরুদ্ধে তার জয় হয়েছে।হাজারো শিশুর প্রাণ বেঁচেছে,এতেই ডাক্তার হানিফ খুুশি। নানা সূত্রে বিদেশে বসেও শুনি আমার এই সৎ বন্ধুকে এই দেশের এক উত্তাল সময় মানুষ জীবনেের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ টালমাটাল অবস্থা থাকা স্বাস্থ্য বিভাগকে যথাসাধ্য ঠিক করতে উপদেষ্টা হিসেবে ভাবা হচ্ছে!
দুঃখিনী বাংলাদেশে যোগ্য জায়গায় যোগ্য লোকদের কথা শুধুু ভাবাই হয়। মনোনিত হন অযোগ্য সব যায়যায় দিনের চার বেলা ঔষধ খেয়ে দুই পায়ে দাঁড়ানো চতুর মানুষেরাই! দেশের মানুষের তাই আর কিচ্ছুই হয়না।শুধু ভালো হচ্ছে,ভালো হবে একদিন এই আশায় দিন,মাস,বছরের পর বছর বড় কষ্ট,ছোট কষ্ট,লাল কষ্ট,নীল কষ্টে দিন পার করা ছাড়।।
স্কারবোরো, কানাডা