-5 C
Toronto
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

টরন্টোনিয়ান এবং আমাদের ফেসবুকিং

টরন্টোনিয়ান এবং আমাদের ফেসবুকিং
তথ্য ভিত্তিক কোন খবর বা প্রতিবেদন কেউ লিখলে তার সোর্স বা সত্যতা যাচাই করেই করতে হবে

ফেসবুকে আমরা যা লিখি তার দুটো দিক রয়েছে। একটা হলো তথ্য আর অন্যটা হলো বিশ্লেষণ বা পর্যবেক্ষণ। তথ্য ভিত্তিক কোন খবর বা প্রতিবেদন কেউ লিখলে তার সোর্স বা সত্যতা যাচাই করেই করতে হবে। কারো কোন তথ্য শেয়ার করলে সেটাও যাচাই বাছাই না করে শেয়ার করা কোন ভাল লোকের কাজ নয়। আওয়ামী লীগ সমর্থক হলে ড. ইউনুস বিরোধী যে কোন তথ্য যাচাই না করে ঝাপিয়ে পড়ে শেয়ার করা লোকদের সাথে বিএনপি জামাত বা সমন্বয়ক সমর্থকদের কোন তথ্য যাচাই না করে পোষ্ট করা, শেয়ার করা লোকদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বরং উভয়কেই ইহকালে এবং পরকালে তার ফল ভোগ করতে হবে। দ্বিতীয় দিকটি হলো যে কোন নিউজ বা ঘটনার ব্যাখা, বিশ্লেষণ বা পর্যবেক্ষণ একেক জনের একেক রকম হতে পারে।

ড. আসিফ নজরুল অনেকদিন আগে বাংলাদেশে ২৬ লক্ষ বা এরকম একটি সংখ্যার ভারতীয় কাজ করে বলে টকশোতে বলে হিরো হয়েছিলেন। তখন অনেকেই বলতেন, আরে টকশোতে কথা বলতে হলে তার মত বলতে হবে। হাজার হাজার লাইক তিনি পেতেন এই ধরনের গরম গরম কথা বলে। কিন্তু আজ যখন তিনি নিজেই সরকারে ২৬ লক্ষ ভারতীয়ের কোন সঠিক পরিসংখ্যান তিনি দিতে পারছেন না। তবে একথা সত্য যে সেই সময়ে একটা পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল যে ভারতের একটা বিশাল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আসে বাংলাদেশ থেকে। যাহোক কারো পক্ষ বা বিপক্ষ হলেই তথ্য বিকৃতির কোন সুযোগ নেই।

- Advertisement -

আজ অনেকেই দেখলাম ফেসবুকে লিখেছেন ফারুকী পদত্যাগ করেছেন। আসলে ঘটনাটা সম্পুর্ণ মিথ্যা। অথচ অনেক শিক্ষিত ও নামকরা লোকজন যাচাই বাছাই ছাড়া যখন মিথ্যা তথ্য শেয়ার করেন তখন তাদেরকে আমার আর মানুষ বলে মনে হয় না।

আমার ক্যামেরার লেন্সে কখনোই কোন রাজনৈতিক দল আগে ধরা পড়ে না। আগে আসে দেশ। তারপর সেই দেশটার মধ্যে মানুষ, জীব জন্তু, টেবিল চেয়ার, ঘর বাড়ী, দালান কোঠা, পোকা মাকড়, ছোট বড় রাজনৈতিক দল, দলগুলোর ভারত পাকিস্তান প্রীতি ইত্যাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে ভেসে আসে। দেশের স্বার্থ যখন সবার উপরে তখন অন্যগুলো একেবারেই গৌণ।

অনেকেই কথায় কথায় বলেন আগে কোথায় ছিলেন, এতদিন বলেন নাই কেন? এদের জানা উচিত, কারো ইয়েতে আঙুল দিয়ে লেখা সবার অভ্যাস নয়। শেখ হাসিনার আমলে যে ভাষায় ও ভঙ্গিতে লিখেছি এখনো সেই ভাষায় ও ভঙ্গিতেই লিখি। একটা পার্থক্য হলো তখনো তিনি সর্বজন স্বীকৃত ফ্যাসিস্ট ছিলেন না। জুলাই আগষ্টে যখন ছাত্র জনতার উপর স্মরণকালের হত্যা নির্যাতনের বর্বরতা ছাপিয়ে গেল তখন অন্য সবার মত আমরাও সরাসরি প্রতিবাদ শুরু করলাম এবং ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শব্দ ব্যবহার শুরু করলাম। তবে হ্যা, বিএনপি বহু বছর ধরেই শেখ হাসিনাকে নানাভাবে গালি দিচ্ছিল। কিন্তু আমরা তো লেখালেখি করি আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে বা বিএনপির পরিবর্তে জাতীয় পার্টি বা জামাতকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যে না। তাহলে তাদের সমালোচনার ভাষা আর আমার ভাষা এক হবে কেন?

যে সংস্কারের কথা আজও ড. ইউনুস জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এবং তাঁর প্রেস সচিব ৭১ টিভিতে এক সাক্ষাতকারে বললেন, আমরা সেই সংস্কার দাবী করছি আরো বিশ বছর আগে থেকে। ২০০৬ সাল থেকে। সংস্কার বিষয়ে প্রেস সচিব অনেকগুলো ক্লিয়ার ইনডিকেশন তিনি দিয়েছেন ৭১ টিভির সাথে সাক্ষাৎকারে সেগুলোর সাথে আমি পুরোপুরি একমত এবং এইগুলোর বিষয়ে সকলের একমত না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচন হওয়া মানেই দেশ আবারও নুতন বোতলে পুরনো ফ্যাসিবাদের খপ্পরে পড়তে বাধ্য। এসব বিষয় নিয়ে পরের লেখায় আলোকপাত করবো আশা করি।

 

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles