
দুই পর্বে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করবে অন্টারিও। প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর। এই পর্যায়ে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর প্রাদেশিক ওয়েবসাইট থেকে তাদের ভ্যাকসিনেশনের রশিদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি তাদেরকে প্রিন্ট নিতে অথবা মোবাইল ডিভাইসে পিডিএফ ভার্সন সংরক্ষণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কোনো অনাবশ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন সনদটি যাচাই করে দেখবে। প্রদেশের কিউআর কোড ও ভেরিফিকেশন অ্যাপ চালু না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্ধতিটি বলবৎ থাকবে। সে পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের প্রদেশের আসন্ন ডিজিটাল পোর্টাল অথবা সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে সনদের জন্য অনুরোধ করতে হবে। নাগরিকরা এরপর একটি স্বাক্ষরিত ভ্যাকসিন সনদ ও কিউআর কোড পাবেন, যেটা প্রিন্ট করে নিতে হবে অথবা মোবাইল ডিভাইসে সংরক্ষণ করতে হবে।
এরপর যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে ভ্যাকসিনেশনের স্বপক্ষে প্রমাণপত্র প্রয়োজন সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সামনে এসব তথ্য সরকারের পরিচয়পত্র পেশ করতে হবে। কর্মীরা প্রাদেশিকভাবে পরিচালিত অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কিউআর কোডটি স্ক্যান করবেন।
কারো যদি গ্রিন ওএইচআইপি (অন্টারিও হেলথ ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান) কার্ড থাকে তাহলে তাকে এই লিঙ্ক থেকে ভ্যাকসিনেশন রশিদ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এজন্য তাকে জন্ম তারিখ ও পোস্টাল কোড সরবরাহ করতে হবে। তবে কারো রেড-অ্যান্ড-হোয়াইট হেলথ কার্ড থাকলে নথির জন্য প্রাদেশিক ভ্যাকসিন বুকিং লাইন ১-৮৩৩-৯৪৩-৩৯০০ নাম্বারে ফোন করতে হবে।
প্রদেশের পক্ষ থেকে বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থাকে কিভাবে আরও বেশি উন্নত করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার। রেড-অ্যান্ড-হোয়াইট হেলথ কার্ড ও কোভিড আইডিধারী এবং যাদের ফটো হেলথ কার্ড আছে কিন্তু ভ্যাকসিনেশনের সময় প্রদর্শন করা হয়নি তাদের জন্য বিকল্প পদ্ধতি এর মধ্যে অন্যতম।
ভ্যাকসিন রশিদ ও কিউআর কোডে কি থাকছে? প্রদেশের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা নথি অনুযায়ী, আপনার নাম, জন্ম তারিখ, হেলথ কার্ডের শেষ চারটি অংক, ভ্যাকসিনেশনের তারিখ, গৃহীত ডোজ এবং ভ্যাকসিন প্রদানকারীর নামের মতো তথ্যগুলোই থাকবে ভ্যাকসিন রশিদে। কিউআর কোডটি স্ক্যানের মাধ্যমে আপনি ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ করেছেন কিনা এবং আপনার নাম দেখা যাবে।