-1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫

কখনও মরতে চাই না

কখনও মরতে চাই না
কখনও মরতে চাই না

আমার জন্য জন্মদিন বলতে কিছু নেই। আম্মা বলেছিলেন, “তোর জন্ম হয়েছে রাতে।” আল্লাহ নিশ্চয় ভেবেছিলেন, এই লোককে দিনের আলোয় বানানো ঠিক হবে না। রাতের নিখুঁত নকশায় তৈরি করতে হবে। আর রাতেই দুনিয়াতে পাঠাতে হবে।

জন্মটা রাতে হোক বা দিনে, সেটা আসল বিষয় নয়। তবে প্রতিবছর এই দিনটায় নিজের সাথে একটা প্রশ্ন করি, “আমার জন্মটা হয়ে লাভটা আসলে হলো কী?” পৃথিবীর জনসংখ্যা আরেকজন বেশি হলো, এটা তো ঠিক। পিতা-মাতা পেলেন একজন সন্তান। বউ পেলেন একজন স্বামী।  সন্তানরা পেলেন একজন বাবা। আর আপনারা, আমার বন্ধুরা, সোশ্যাল মিডিয়ায় পেলেন একজন বন্ধু।

- Advertisement -

তবে আমার জীবন তো এমন নিখুঁতও নয়। ধরুন, আমি কানাডায় তিনবার ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করেছি। প্রতিবারই ফি দিতে হয়েছে, ইনস্ট্রাক্টরকে, সরকারকে। জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত যত টাকা খরচ করেছি, না জন্মালে তারা হয়তো এ টাকাগুলো মিস করত। কিন্তু জন্মের লাভ কি কেবল এই অর্থনৈতিক হিসেবেই সীমাবদ্ধ?

কখনও মরতে চাই না

আসলে জন্মের লাভটা আমি আমার মতোই দেখি। এই পৃথিবীকে, এর মানুষগুলোকে, আর এর সৌন্দর্যকে আমি সত্যিই অনেক ভালবাসি। আমি কখনো মরতে চাই না। আমার জন্মের জন্য, এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাকে পাঠানোর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

আপনারা যাঁরা শুভকামনা জানিয়েছেন, আপনাদের সবার জন্য দোয়া। দোয়া করবেন, যেন বাকি জীবনটা সুস্থ, সুন্দর ও শান্তিতে কাটাতে পারি।

জন্মদিনে আমাকে যাঁরা শুভকামনা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ঋণী হয়ে রইলাম। আপনাদের অবিরাম শুভেচ্ছা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

সতেরই নভেম্বর দিনটি আসমা আপার বাসায় নিমন্ত্রণ ছিল, টেক্সাস এ এন্ড এম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রফেসর এবং আমার প্রিয় ক্লাসমেট মেহনাজও এসেছিল খালাম্মাকে সাথে নিয়ে। জানা গেল যে খালাম্মার জন্মদিন ছিল দু’দিন আগে, যা আমাদের উদযাপনকে আরও আনন্দময় করেছিল।

আসমা আপা আর জামিল ভাই আমাদের জন্য দুটো কেক নিয়ে এসেছিলেন, যা সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এছাড়াও, জন্মদিনে আসমা আপা আমাকে খামে ভরা আকর্ষণীয় একটা উপহারও দিয়েছেন, যা আমি অত্যন্ত মূল্যবান মনে করছি।

আমার মেয়ে উমাইমার সারপ্রাইজ উপহার ছিল মূল্যবান একটি কেক। আমাকে বলে, ”আব্বু তোমার পছন্দের যা চাও, আমি কিনে দেবো। ভাবছি কী কেনা যায়। রিহান একটি রেষ্টুরেন্টে খাওয়ানোর অফার দেয়।

খাওয়ানো, উপহার আর শুভেচ্ছার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের সবার ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে এবং আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। সবার প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা।

 

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles