1 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫

বিবাহিত পুরুষের বয়স বাড়ে ধীরে, মেয়েদের ব্যাপার আলাদা, বলছে গবেষণা

বিবাহিত পুরুষের বয়স বাড়ে ধীরে, মেয়েদের ব্যাপার আলাদা, বলছে গবেষণা - the Bengali Times
ফাইল ছবি

অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিত পুরুষদের বয়স ধীরে বাড়ে, তবে একই প্রভাব নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল ওয়ার্ক জার্নালের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা গেছে, বিবাহিত পুরুষদের বয়স অবশ্যই ধীরে বাড়ে। তবে এটি শুধুমাত্র প্রযোজ্য যদি তাদের সম্পর্কের স্ট্যাটাস বিবাহিতই থাকে। বিচ্ছেদ, বিবাহবিচ্ছেদ বা স্ত্রীকে হারানো বার্ধক্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

- Advertisement -

নারীদের ক্ষেত্রে কী হয়

নারীদের ওপর চালানো গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, যে বিবাহিত নারীদের বয়স বাড়া বা না বাড়ার বিষয়টা অবিবাহিত নারীদের থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। যে নারীরা বিয়ে করেছেন এবং তারপর বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন বা বিধবা হয়েছেন, যারা বিবাহিত বা অবিবাহিত ছিলেন তাদের তুলনায় বয়স বেশি বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যাদের বিবাহ বিচ্ছেদের হয়েছে বা জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন, তাদের তুলনায় অবিবাহিত নারীদের বয়স নির্দিষ্টভাবেই বেড়েছে।

পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, যে বিয়ে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তবে এই গবেষণাগুলি করে এটা জানা যায়নি যে সময়ের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তনগুলি কীভাবে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে বা কীভাবে এই পরিবর্তনগুলি পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা হতে পারে।

যেভাবে করা হয়েছে গবেষণা

গত ২০ বছর ধরে ৪৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সী কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকাকে অনুসরণ করা হয়েছে। যাতে বৈবাহিক অবস্থা তাদের স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা বোঝা যায়। প্রতিটি ব্যক্তির বয়স ভালোভাবে অর্থাৎ কোনোরকম বার্ধক্য, অসুস্থতা ছাড়াই বয়স বেড়েছে কি না তা নির্ধারণ করার জন্য এ পদক্ষেপও নেওয়া হয়। গবেষকরা আসলে বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের বাস্তব অভিজ্ঞতা আরও ভালভাবে বোঝার জন্য শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের একটি বিস্তৃত সংজ্ঞা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল হচ্ছেন এফবিআই প্রধানভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল হচ্ছেন এফবিআই প্রধান
এ বিষয়ে গবেষণার প্রধান লেখক মেবেল হো, ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো ইনস্টিটিউট অফ লাইফ কোর্স অ্যান্ড এজিং-এর একজন গবেষক বলেছেন, ‘আমি একজন সমাজকর্মী। গত ২০ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্য করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমার আবেগ সবসময় তাদের সুস্থ এবং সুখী জীবনযাপনে সমর্থন করে এসেছে। আমাদের গবেষণায় ৭ হাজারের বেশি মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক কানাডিয়ানদের অনুসরণ করা হয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি যে কিছু লোকের বয়স নির্দিষ্ট নিয়মে বেড়েছে, আবার অন্যদের ক্ষেত্রে তা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষদের বার্ধক্য আসতে কোন বিষয়টা বাধা দিতে পারে তা আমরা বুঝতে পারলেই প্রাপ্তবয়স্কদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ভাল জীবনযাপনে তাদের আরও ভালভাবে সহায়তা করতে পারি।’

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles