-5 C
Toronto
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

কাবা ঘরের মেঝের কারুকার্য

কাবা ঘরের মেঝের কারুকার্য
কাবা ঘরের মেঝের কারুকার্য

কাবা ঘরের মেঝের কারুকার্য !

ল্যুভর মিউজিয়াম, প্যারিশ।

- Advertisement -

গত স্প্রিঙে ইউরোপে ভ্রমণকালে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে একদিন কাটাই, যদিও একদিন অনেক কম সময় ওখানকার সবকিছু ভাল করে দেখার জন্য। ওই মিউজিয়ামে অনেক বড়ো একটা সেকশন জুড়েই আছে ইসলামিক আর্ট কালেকশন। হাজার বা শত বছর আগের অনেক অনেক ইসলামিক শিল্পকর্ম ওখানে আছে। সাথে যে ভিডিওটি যা দেখা যাচ্ছে সেটি কিন্তু আসলে মেঝের কোনো কার্পেটে নয়।  ওগুলি আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরের দ্বারা তৈরী করা মেঝে। এখনকার সময়ের লোগো জোড়া লাগানোর মতো করে করা।  কি নিখুঁত কারুকার্য।

ওগুলিতে বিভিন্ন পুশু , পাখি বা জীব জানোয়ারের ছবিসহ আরো অনেক ছবি আঁকা, কারণ রসূল (সঃ) এর মক্কা বিজয়ের আগে ওখানে মানুষ বিভিন্ন জিনিসের উপাসনা করতো, ঐসময় ওখানকার মানুষ প্যাগান ধর্ম-বিশ্বাসী ছিল। পরে রসূল (সঃ) এর মক্কা বিজয়ের থেকে ওগুলিকে পরিবর্তন করা হয়। যাহোক, ইতিহাস বলতে চাচ্ছি না, তেমন জানিও না।

আমি অভিভূত হয়েছি সেই দেড়/দুই হাজার বছর আগের থেকে বা তার পরবর্তী সময়ে ওই সমস্ত ইসলামিক শিল্পকারুকার্য দেখে।

আসলে শিল্প একটি সময়ের বা একটি জাতির অনেক কিছুর প্রতিফলন।

আরও অবাক করা বিষয় হলো ওগুলিকে ধ্বংসপ্রায় অবস্থা থেকে জোগাড় করে এনে সেই আগের রুপ দেওয়া অনেক ধৈর্য এবং দক্ষতার বিষয়, যেমনটি মিশরেও দেখেছি।

এর আগে আমি কখনো দেখি নাই যে ইসলাম পূর্ববর্তী অবস্থায় কাবার মেঝের অবস্থা কেমন ছিল।

বর্তমানে আমরা আমাদেরকে সব থেকে স্মার্ট মনে করলেও ওই সময়ের মানুষদের মেধা এবং দক্ষতা কম ছিল না। আধুনিক কোনো ধরণের যন্ত্রপাতি ছাড়া নিখুঁতভাবে তারা কত সুন্দর সুন্দর শিল্পকর্ম করেছেন।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles