7 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ২৪, ২০২৫

ভালো থাকতে যে ধরনের মানুষকে এড়িয়ে চলবেন

ভালো থাকতে যে ধরনের মানুষকে এড়িয়ে চলবেন - the Bengali Times
সংগৃহীত ছবি

আমাদের আশপাশেই অনেক মানুষ আছে, যাদের কারণে ভালো থাকা যায় না। আর আশপাশের মানুষের কথা ভাবলে আমাদের প্রথমেই মাথায় আসে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের কথা। সে অর্থে পরিবার বদলানো বা বাছাই করার সুযোগ না থাকলেও বন্ধু বা সঙ্গী নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতন আমরা হতেই পারি। জীবনের প্রতিটি স্তরে যেসব মানুষ প্রতিনিয়ত নানাভাবে প্রভাব ফেলছে, তাদের বাছাই করতে সতর্ক না হলে শেষটায় ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরনের মানুষকে একেবারে এড়িয়ে চলুন। তারা কারা চলুন, দেখে নেওয়া যাক।

পরচর্চার অভ্যাস আছে যাদের

- Advertisement -

আমরা কমবেশি সবাই এমন কাউকে চিনি, যার কাছে সবার গোপন তথ্য পাওয়া যায়। এবার ভাবুন আপনার প্রিয় বন্ধুকে যদি একান্ত গোপনীয় কোনো বিষয় জানান, আর সে যদি এই কথাটি অন্য বন্ধুদের মধ্যে প্রচার করে বেড়ায় তাহলে কেমন লাগবে। এমন বন্ধুরা এর কথা তাকে আর তার কথা ওকে বলতে থাকে, কাউকে না বলার দোহাই দিয়ে। তাই পরচর্চাকারী ব্যক্তি আপনার যতই কাছের কেউ হোক, এ ধরনের মানুষদের বন্ধুর মর্যাদা না দেওয়াটাই ভালো।

ঈর্ষাপরায়ণ ব্যক্তি

কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার অন্যতম একটি বিশেষ দিক হলো তার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা যায়। সেটি হোক দুঃখ-বেদনা বা নিজের আনন্দ সাফল্য।
স্বাভাবিকভাবেই আমরা চাই যে আমাদের বন্ধু আমাদের সাফল্যে আনন্দিত হবে। তবে এমন কিছু বন্ধুও থাকেন যারা আপনার সাফল্যে আনন্দিত হওয়া দূরে থাক, উল্টো আপনার বিরুদ্ধে কটু কথা বলতেও দ্বিধা করে না। এমন চলতে থাকলে আপনি হয়তো বন্ধুত্ব রক্ষার্থে নিজের সাফল্যগুলোকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। হাতেগোনা কিছু মানুষের জন্য নিজের কষ্টার্জিত সাফল্য লুকিয়ে রাখার চেয়ে বরং এ ধরনের বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন।

নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন ব্যক্তি

কথায় আছে, যদি একটি মিথ্যা বা নেতিবাচক কথা বারবার বলা হয়, তবে একটা পর্যায়ে আপনি তা বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রকে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু আপনার কোনো এক সহকর্মী অফিসে পা রাখা মাত্রই আপনার কাছে আপনার কর্মক্ষেত্র বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করতে শুরু করেন, এক পর্যায়ে লক্ষ করবেন আপনার মনেও বিষয়গুলো গেঁথে যাচ্ছে। সে সময় আপনার মনে এসব বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। নেতিবাচক মনোভাব সংক্রামক রোগের মতো। তাই নিজের মানসিক শান্তি রক্ষা করতে চাইলে নেতিবাচক মনোভাব পোষণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলুন।
নিজেকে সবজান্তা ভাবা মানুষ

সুসম্পর্ক বজায় রাখতে অপরের মতামতের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জীবনে চলার পথে আমরা এমন কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসি, যারা অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে চান না। অন্যের মতকে অগ্রাহ্য করে কিংবা নানা অযুহাতে ভুল প্রমাণ করে নিজের মতকেই সঠিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এমন স্বঘোষিত সবজান্তা শমসেরদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে কিংবা সাধারণ বন্ধুত্ব রক্ষা করতে গেলেও আপনি একপর্যায়ে হাঁপিয়ে উঠবেন। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাই ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছ থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখবেন।

মিথ্যাবাদী মানুষ

প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস যেকোনো সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি ও সন্দেহ সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, আপনার খুব কাছের কোনো বন্ধু যদি নানা বিষয়ে মিথ্যা বলে বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, তবে তা আপনাকে প্রভাবিত করতে পারে। হয়তো আপনি মিথ্যা একদমই বলেন না। ফলে না চাইলেও অনেক কাজ আপনাকে করতে হয়। অপরদিকে আপনার বন্ধু দিব্যি মিথ্যা বলে পার পেয়ে যান। এতে আপনার মনে হতেই পারে, সত্যের চেয়ে মিথ্যা বলাটাই আপনার জন্য মঙ্গল। যে আপনি কোনো দিনই মিথ্যা বলতেন না, সেই আপনিই হয়তো মিথ্যা বলতে শুরু করে দিলেন। তাই সুখী হতে হলে মিথ্যাবাদী ব্যক্তি সব সময়ই পরিত্যাজ্য।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles