
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিজের দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। এখন সেটি প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। সেই প্রক্রিয়াই চলছে।
মঙ্গলবার নিজের দপ্তরে যাননি মুরাদ হাসান। তিনি ঢাকায় নেই বলেও জানা গেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবারও মন্ত্রণালয়ে যাননি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সেগুনবাগিচায় শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার যোগ দেওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল, সেখানেও যাননি।
সোমবার সারাদিন চেষ্টা করেও মুরাদ হাসানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ধানমন্ডির-১৫ নম্বরের বাসভবনেও তিনি ছিলেন না। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্র সমকালকে নিশ্চিত করে, মুরাদ হাসান ঢাকায় নেই। বিকেলে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো কথা বলা যায়নি। তিনি এখন কোথায় আছেন, তাও জানা যায়নি।
এর আগে সোমবার মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর এ নির্দেশ আসে।
সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় কোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করিতে অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত মন্ত্রী অনুরূপ অনুরোধ পালনে অসমর্থ হইলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে উক্ত মন্ত্রীর নিয়োগের অবসান ঘটাইবার পরামর্শ দান করিতে পারিবেন।’
ডা. মুরাদ মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকেও বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য।
গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন মুরাদ হাসান। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী।
এরমধ্যেই রোববার মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা নিশ্চিত করেন চিত্রনায়ক ইমন। তিনি বলেন, ফোনালাপটি সঠিক। তবে এটা দেড় বছর আগের।