
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ‘একটা রাজনৈতিক দল’ ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তিনি এ অভিযোগ করেন। নাম না করেই তিনি উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের সম্পর্কে বর্তমানে যে টানাপোড়েন চলছে সেই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে চাইছে ওই দল। তার কথায়, “অনেক ফেক ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দল উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
বিধানসভায় তার ভাষণে সম্প্রীতি ও শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার এবং প্রতিবেশী দেশের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সংযত থাকার অনুরোধও করেছেন তিনি।
দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে তার দলের নেতাসহ সবাইকে শান্ত থাকার এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। সীমান্তবর্তী রাজ্যের শান্তি যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই আহ্বান।
বিধানসভায় তার বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। একই সঙ্গে সমস্ত বিধায়কের উদ্দেশে বলেছেন, “কেউ উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেবেন না।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “হিন্দু, মুসলিম, শিখ বা খ্রিস্টানরা দাঙ্গা শুরু করে না। সমাজবিরোধীরা দাঙ্গা শুরু করে। আমাদের এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয় যাতে বাংলায় খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মমতা বলেন, “আমি তাদের নিষেধ করেছি। অনেকে এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। তারা আরেকটা দাঙ্গা শুরু করবে। আমরা দাঙ্গা চাই না, শান্তি চাই। হিন্দু-মুসলিম, শিখ ও খ্রিস্টানদের রক্ত একই।”
এরপরই কারও নাম না করে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। অনেক ফেক (ভুয়া) ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দল ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুই সম্প্রদায়ের মানুষকেই এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।”
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে, কিছু ক্ষেত্রে সেই বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা এটা নিয়ে রাজনীতি করার কথা ভাবছেন, তাদের মনে রাখা উচিত, এতে আপনার রাজ্যেরও ক্ষতি হবে। ওখানে (বাংলাদেশে) থাকা বন্ধুদেরও ক্ষতি হবে।”
সূত্র: বিবিসি বাংলা।