
মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, কিছু নারীর মধ্যে স্বার্থপরতা এবং সহানুভূতির অভাব দেখা দিতে পারে, যা তাদের আচরণে কিছু লক্ষণ হিসেবে প্রতিফলিত হতে পারে। এখানে নারীদের মধ্যে স্বার্থপরতা এবং কম সহানুভূতির ৯টি প্রধান লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেয়া: স্বার্থপর নারীরা প্রায়শই নিজেদের চাহিদা ও সুবিধাকে অন্যদের চাহিদার উপর অগ্রাধিকার দেয়।
অন্যের অনুভূতির প্রতি অযত্ন: তারা অন্যদের দুঃখ-কষ্ট বা অনুভূতির প্রতি কম মনোযোগ দেয় বা বুঝতে পারে না।
অন্যদের সাহায্য করার প্রতি অনীহা: তারা নিজের স্বার্থের বাইরে গিয়ে অন্যদের সাহায্য করতে আগ্রহী হয় না।
শুধুমাত্র নিজের লাভের দিকে মনোযোগ: তাদের সিদ্ধান্তগুলো প্রায়ই নিজস্ব লাভ বা সুবিধার দিকে কেন্দ্রীভূত থাকে, অন্যদের লাভ বা ক্ষতির বিষয়ে ভাবনা কম থাকে।
তাদের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া: তারা মনে করে যে তাদের মতামত বা ধারণাই সঠিক, এবং অন্যদের মতামতকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
অন্যান্য মানুষের প্রতি অবজ্ঞা বা অপমান: তারা যাদের সহানুভূতি কম বা নৈতিকতা দুর্বল মনে করে, তাদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হতে পারে।
নিজের দোষ স্বীকার না করা: তারা কখনো নিজের ভুল বা দোষ স্বীকার করতে চায় না এবং সব সময় অন্যদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে।
সম্পর্কে অস্থিতিশীলতা: তাদের সম্পর্কগুলো প্রায়শই একপেশে হতে পারে, যেখানে তারা শুধুমাত্র নিজের সুবিধা নেয় এবং অন্যদের চাহিদার প্রতি অবহেলা করে।
অন্যদের আবেগের প্রতি উদাসীনতা: তারা অন্যদের আবেগ বা প্রতিক্রিয়ার প্রতি সাড়া দিতে আগ্রহী নয় এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করে না।
এই লক্ষণগুলি বোঝাতে পারে যে, কেউ তার নিজের প্রয়োজন এবং ইচ্ছার প্রতি বেশি মনোযোগী এবং কম সহানুভূতিশীল। তবে, মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ ও সমঝোতা এবং পারস্পরিক আলোচনা মানুষের আচরণ পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে।