11.5 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০, ২০২৫

‘যুবসম্প্রদায়কে বুঁদ করে রেখেছে কয়েক যুগ’, শাবনূর প্রসঙ্গে মন্তব্য কনকচাঁপার

‘যুবসম্প্রদায়কে বুঁদ করে রেখেছে কয়েক যুগ’, শাবনূর প্রসঙ্গে মন্তব্য কনকচাঁপার - the Bengali Times
কনকচাঁপা ও শাবনূর

দুজন একই অঙ্গনের মানুষ। তবে কাজ আলাদা। একজন গান করেন আরেকজন সেই গানে ঠোঁট মেলান। তিনি নায়িকা। সেই গুণী ও জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের আজ জন্মদিন। যার অভিনীত অধিকাংশ সিনেমার গানে কন্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। অনেকের ধারণা শাবনূরের কন্ঠের সঙ্গে কনকচাঁপার কন্ঠের মিল রয়েছে। এ কারণেই অধিকাংশ পরিচালক শাবনূরের গানে কন্ঠ দিতেন এই শিল্পী।

আজ শাবনূরের জন্মদিন উপলক্ষে দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্ট লিখেছেন কনকচাঁপা। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দুজনের একটা ছবি। তিনি লেখেন, ‘শাবনূর,একটি পরিপূর্ণ প্রতিভাময় শিল্পীর নাম যাকে বাংলাদেশ কখনোই ভুলতে পারবে না! তাঁর অভিনয় শৈলী, তাঁর উচ্চারণ, তাঁর দৈহিক সৌন্দর্য, তাঁর চাঁদপানা মুখশ্রী গোলাপের মতো হাসি এবং তার নয়নযুগল পুরো যুবসম্প্রদায়কে বুঁদ করে রেখেছে কয়েক যুগ। তার রেশ এখনো কাটেনি, কাটবেও না কখনও।

- Advertisement -

এই শাবনূর এপিসোড থেকে দর্শক বেরুতেও চায়নি, চাইবেও না। কারণ এমন প্রতিভার অধিকারী শত জনমে একজনই হয়। তাঁর সমসাময়িক অনেকেই আছেন কিন্তু কাছাকাছি কেউ নেই।’

তিনি নিজের গান গাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি বলা যায় প্রথম থেকেই তাঁর জন্য গাইছি। আশ্চর্যজনক কথা যে তাঁর সাথে আমার খুবই কম দেখা হয়েছে ।

আমি আমার মতো গেয়েছি তিনি তাঁর মতো অভিনয় করেছেন । কিন্তু যখন পিকচারাইজেশন দেখেছি তখন আমারই বিশ্বাস হয়নি যে এটা আমি গেয়েছি, মনে হয়েছে এটা যেন তাঁরই কণ্ঠ! এই যে একাকার হয়ে যাওয়া এই ক্রেডিট আমি শাবনূরকেই দিতে চাই। তিনি আসলে আমাদের কবরীর পরে ভার্সেটাইল যাকে বলে সেই উঁচুমানের মহানায়িকা। সিরিয়াস অভিনয়, হাসির অভিনয়, ছটফটে দুরন্ত কিশোরীর অভিনয় সবই দুর্দান্ত তবে তার ভয়ংকর সুন্দর চোখে যখন অশ্রু ঝরে তখন একটা কথাই মাথায় আসে ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেবো ভেবে হই আকুল!’’

তিনি বলেন, ‘আগেই বলেছি ব্যক্তিগত জীবনে তার সাথে আমার খুব কম দেখা হয়েছে। আমার রেকর্ডিং স্টুডিও আর তাঁর কর্মক্ষেত্র আলাদা জায়গায় হওয়াতেই এমন হয়েছে। কিন্তু যখন তাকে দেখেছি, খেয়াল করেছি খুব সহজ সরল তাঁর উপস্থিতি। তাঁর কাঁচভাঙ্গা হাসি আমার মন কেড়ে নিয়েছে। সবারই বোধহয় এভাবে অনুভব হয়। সাধারণ ভাবে দেখা সাক্ষাৎ হলে মনে হয়েছে এই মেয়ে সিরিয়াস অভিনয় করে কিভাবে! আমার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিতে গিয়েছিলাম তাঁর বাসায়। তখন তার আন্তরিক আতিথিয়েতা দেখে আমি মুগ্ধ! তখনও আমি নিরাভরণ শাবনূরকে দেখে চমকে উঠেছি তাঁর বিরল সৌন্দর্য ও চোখের চাহনিতে। আমি খুবই গর্বিত তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়ই আমি সাথে ছিলাম। তাঁর অভিনীত একশো ভাগের নিরানব্বই ভাগ গানই আমার গাওয়া। আমাদের দুইদেহ এক প্রাণ বলা যায়।’

শাবনূর প্রসঙ্গে এই শিল্পী শেষ করেছেন এভাবে,‘জীবনে কখনো কোন চ্যানেলকে বলিনি আমাকে এমন একটা অনুষ্ঠান দেন। কিন্তু কয়েকটি চ্যানেলে স্বপ্রনোদিত হয়ে বলেছি শাবনূর ও আমাকে নিয়ে একটা প্রোগ্রাম সাজাতে, কিন্তু কোন চ্যানেলই গা করে নাই। এই বাংলাদেশে মূল্যায়ন পাওয়া খুবই কঠিন তবে আমার বিশ্বাস একদিন আমার গান আর শাবনুরের অভিনয়ের সমন্বয় নিয়ে গবেষণা হবে তখন হয়তো তা দেখার জন্য হয়তো কোন একজন থাকবো না। আমি আমাদের এই মহানায়িকার আনন্দিত সুখী সুদীর্ঘ জীবন কামনা করছি। শাবনূরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার পক্ষ থেকে রইলো অগণন শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles