কানাডায় নব নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার নাহিদা সুলতানা বলেছেন, “আমাকে একটা আলাদিনের চেরাগ এনে দিন, আমি আপনাদের সব সমস্যার সমাধান করে দেবো।” টরন্টোয় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডেনফোর্থ এভিনিউর বিডি ফিউশন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এমপিপি ডলি বেগমসহ দলমত নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাহবুব চৌধুরী রনি, সিপিএ জুবায়ের আহমেদসহ আরও কয়েকজন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে নব নিযুক্ত হাই কমিশনারকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেখানে বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের জন্য নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) আবেদন প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়।
কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের দাবি
কমিউনিটি নেতারা অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন সেবা প্রদানে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি। এনভিআরসহ বিভিন্ন আবেদন প্রক্রিয়া জটিল করে তুলেছে, যা এখনও বিদ্যমান। তারা কনস্যুলার সেবা আরও সহজ করা, প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ, ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং সেবার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবি জানান। একই সঙ্গে, হাই কমিশন ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমানোরও আহ্বান জানান।
হাই কমিশনারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন দাবির প্রসঙ্গে হাই কমিশনার নাহিদা সুলতানা বলেন, “বিদ্যমান আইন ও নিয়ম-নীতি মেনেই সব কাজ করতে হয়।” তিনি নিজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে জানান, দ্রুত এসব নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে তিনি সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তার বক্তব্যের শেষে, রসিকতা করে তিনি বলেন, “আমাকে একটা আলাদিনের চেরাগ এনে দিন, আমি আপনাদের সব সমস্যার সমাধান করে দেবো।”
অনুষ্ঠান শেষে
অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়। উপস্থিত কমিউনিটির সদস্যগণ আয়োজকদের এ উদ্যোগের ভূয়শী প্রশংসা করেন এবং নিয়মিত এ ধরণের আয়োজনের অনুরোধ জানান।
স্কারবোরো, কানাডা