ভাই সকল,
জানি, আপনাদের মাথায় সবসময় একটা প্রশ্ন কিলবিল করে ঘুরপাক খায়, কিন্তু কোনো কুলকিনারা পান না। সেটা হলো, এতো ঘটনা জানার পরও লক্ষ লক্ষ পাবলিক কেন হাসিনার পতনে এতিম হয়ে ঘুরছে। তাদের দেখে মনে হয় তারা তাদের আপন বাপ-মা কে একসাথে হারিয়েছে। তারা কেনই বা স্বপ্ন দেখে দোয়া ইউনুস পড়ছে, যেন হাসিনা চট করে ফিরে আসে?
আমি গরিব মানুষ হিসেবে উত্তর একটা পেয়েছি, দিচ্ছি একটু পরে।
বোন সকল,
আপনারা কি জানেন হাসিনা হাজার হাজার ছাত্রজনতা কে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে মারার পরও বেশিরভাগ শিল্পী কেন হাসি আপা বলতে অজ্ঞান? ছাত্রদের গায়ে গরম পানি ঢালতে চায়? চঞ্চল চৌধুরী কেন ‘মা মা’ বলে কুঁজো হয়ে হাঁটু গেড়ে সালাম করতে গিয়ে হাসিনার বাথরুমের পায়ের স্যান্ডেল ঝেড়ে মাথায় ময়লা মাখে?
বলতেসি..
আপনারা জেনে আরও অবাক হবেন যে, দুই নির্বাচনে রাখ-ঢাক না করে হাসতে হাসতে ভোট ডাকাতি করার পরও, হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খাওয়ার পরও কেন বাঘা বাঘা নীতিবাদী শিক্ষক জাফর ইকবালের মতো হাসিনার পায়ের ময়লা নেবার তপস্যা করে? বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধারাও বোবা-কালার মতো হয়ে গেছে? ফেইসবুকে হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু বললেই বহু লোকজন কেন মারতে আসে? উল্টা তাকে উদ্ধারকর্তা, মা জননী, দেবি ডাকে? আগের সরকারই চায়, ১৬ বছরের ঐ স্বাধীনতাই আবার ফেরৎ চায়?
উত্তরটা জানেন না তাই তো?
কচ্চি ইকটু পরে…
সবকিছুর একটা কারন থাকে।
এ মহাবিশ্বে কারন ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না। যদি একটু গভীরভাবে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করেন, অর্থাৎ একদম গোড়া থেকে; মানে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়টা থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধারাবাহিকভাবে বিশ্লেষণ করতে করতে এগুতে থাকেন, তবে আপনাকে কষ্ট করে উত্তরের পিছ পিছ ছুটতে হবে না, উত্তরই আপনার পিছ পিছ ছুটবে। কেনই বা এরশাদ তার বোন, মোদী তার ‘ইয়ে’, মিষ্টিকুমড়ার দিয়ে কেন বেগুনি; ইত্যাদি অনেক কিছুতেই উত্তরের খণ্ডগুলো আছে। আপনি শুধু খণ্ডগুলো একটার সাথে আরেকটা জোড়া-তালি দিলেই দেখবেন একটা মুখায়ব ফুটে উঠছে। এজন্য আপনাকে হাবাগোবাও হতে হবে না, স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন কিংবা জিনিয়াসও হতে হবে না। উত্তর পাবেন।
ভাই-বোন সকল, উত্তরটা হলো- “আমি জানি না”। খোদার কসম আমি জানি না, অনেক ভাবছি, কিচ্ছু পাইনি; আমার মাথায় কুলোয়নি ভাই..
আপনারা পাইলে জানায়েন তো?
অটোয়া, কানাডা