
শুনতেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে একটা সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শর্টফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। সেটা নাকি মুক্তি পাবে। ছবিটা অনেকেই দেখবেন ও আবেগে অশ্রুত হবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফাহাদকে ভীষণভাবে অনুভব করি। তাকে যখন পিটিয়ে হ*ত্যা করা হয়েছিল সে সময় আমি অসংখ্য পোস্ট ও ভিডিও তৈরি করেছিলাম তাকে নিয়ে।
যে কোনো মানুষ যে কোনো মতাবলম্বী হতে পারে, মত প্রকাশ করতে পারে। তাই বলে একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তাকে এভাবে নৃশংসভাবে হ*ত্যা করতে হবে? এমন মেধাবী ছাত্রকে শেষ করে দিতে হবে?
আজ পাঁচ-ছয় বছর হয়ে গেছে তাকে মে*রে ফেলা হয়েছে। সে দুনিয়ায় নেই। কিন্তু যে স্ট্যাটাস তিনি দিয়েছিলেন, যেটার জন্য তাকে হ*ত্যা করা হলো, সেসবই আছে এখনো বহাল। ভারতে ইলিশ যাচ্ছে। ফারাক্কার পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সবই আছে শুধু নেই ফাহাদ। বাংলাদেশে যখনই কোনো রাজনৈতিক দল দেশকে শাসন করে তখন মানুষের ওপর নির্যাতন শুরু করে দীর্ঘদিন ক্ষমতা দখল করে বসে থাকতে চায়। অনেক রক্ত ক্ষয়ের পর দল বদল হয় ঠিকই কিন্তু কর্ম-ইচ্ছে-প্রতিশোধ কিছুই বদল হয় না। একচেটিয়া আম্লিক দেশ দখলে ছিল। দীর্ঘ ষোল বছর। এতগুলো সময়ে তারা যা পেরেছে তাই করেছে। প্রতিপক্ষ দলগুলো সহ্য করেছে। গুম হয়েছে। তাদের হ*ত্যা করা হয়েছে।
এখন আম্লিক বদল হলেও তাদের কর্ম এখনো সজাগ আছে। আবার এতদিন যারা আম্লিকের অত্যাচার সহ্য করেছে তাদের একাংশ এখন প্রতিশোধ নেওয়ায় ব্যস্ত। যারা এখন প্রতিশোধ নিতে রাস্তায় নেমেছে তারা আম্লিকের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত, প্রতিশোধপরায়ণ হতে শিখেছে। এভাবে যতই দল বদল হোক এই মারা*মারি বন্ধ হবে না। তবে কম-বেশি হবে।
সে যাই হোক মানুষ যে দলেরই হোক মানুষ হ*ত্যা করা মহাপাপ ও অন্যায়। পাপ কখনো বাপকে ছাড়ে না কথা আছে। তাই যে দলেরই মানুষ অন্য দলের বা সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করবে বা হ*ত্যা করবে তাদের একটা শাস্তি অবশ্যই হবে। যেভাবে হোক হবে। সবাই যদি অতীত থেকে শিক্ষা নিত তাহলে মানবতা ফিরে আসত। তা হয়তো বাংলাদেশে কখনোই হবে না।
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।
টরন্টো, কানাডা