![পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকা মাদক সেবন সাইট বন্ধের সমালোচনা পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকা মাদক সেবন সাইট বন্ধের সমালোচনা](https://www.thebengalitimes.com/wp-content/uploads/2024/12/Picture19-3.jpg)
নগরীজুড়ে পর্যবেক্ষণের অধীনে থাকা পাঁচটি মাদক সেবন সাইট বন্ধের সমালোচনা করেছে টরন্টো বোর্ড অব হেলথ। তারা বলেছে, এর ফলে মাদকের কারণে মৃত্যু এবং প্রকাশ্যে মাদক সেবন বেড়ে যাবে, শেষ পর্যন্ত যা জরুরি পরিষেবার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ, ওভারডোজ কলে সাড়া দিতে এমনিতেই তারা হিমশিম খাচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড চেয়ার কাউন্সিলর ক্রিস ময়েস বলেন, লোকজন মারা যাবে।
অন্টারিও এর আগে স্কুল ও চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের ২০০ মিটারের মধ্যে বিতর্কিত মাদক সেবন কেন্দ্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে মাদক নিরাময় ও চিকিৎসা কেন্দ্র বাবদ বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়।
এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলভিয়া জোন্স উচ্চ হারে অপরাধের পরিসংখ্যানের কথা বলেন। তিনি বলেন, টরন্টোতে এসবে সাইটের আশপাশে নগরীর রবাকি অংশের তুলনায় ১১৩ শতাংশ বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হতে হবে আমাদের কমিউনিটিকে রক্ষা করা, বিশেষ করে যখন শিশুদে কথা সামনে আসে।
২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে টরন্টোর যে পাঁচটি সাইট বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো হলো পার্কডেল কুইন ওয়েস্ট কমিউনিটি হেলথ সেন্টার (ব্যাথার্স্ট)-১৬৮ ব্যাথার্স্ট স্ট্রিট, রিজেন্ট পার্ক কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ৪৬৫ ডানডাস স্ট্রিট ইস্ট, সাউথ রিভারডেল কমিউনিটি হেলথ সেন্টার (কুইন) ৯৫৫ কুইন স্ট্রিট ইস্ট, টরন্টো পাবলিক হেলথ ২৭৭ ভিক্টোরিয়া স্ট্রিট এবং কেনসিঙ্গটন মার্কেট ওভারডোজন প্রিভেনশন সাইট, দ্য নেবারহুড গ্রুপ ২৬০ অগাস্টা এভিনিউ (নিজস্ব অর্থায়নকৃত সাইট)।
মাদক চিকিৎসায় প্রদেশের আরও বেশি বিনিয়োগের প্রশংসা করেছেন ময়েস। তবে কিছু সাইট বন্ধের উদ্যোগকে অবিবেচনাপ্রসূত বলে মনে করেন সাবেক এই মাদক পরামর্শক। তিনি বলেন, আমরা যদি জোর করে সাইটগুলো বন্ধ করে দেই তাহলে আমাদের পার্ক ও লেনওয়েগুলো প্রকাশ্যে মাদক সেবন বেড়ে যাবে। আমাদের রাস্তায় অনেক বেশি পরিত্যক্ত সুই পড়ে থাকতে দেখব। একই সুই একাধিক ব্যক্তি ব্যবহারের ফলে এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস সির মতো রোগ একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হতে দেখব। এবং আমরা আরও বেশি ওভারডোজ ও মৃত্যু দেখতে পাব।
তিনি বলেন, আমাদের জরুরি সেবা মাদক সংক্রান্ত কলে দ্রুতগতিতে সাড়া দেওয়ার মতো সক্ষম নয়। এর ফলে তদারকির আওতায় মাদক সেবা দ্রুত হ্রাস পাবে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.