6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

৩৩ বছর পর পাওয়া গেল হত্যার শিকার নারীর পরিচয়

৩৩ বছর পর পাওয়া গেল হত্যার শিকার নারীর পরিচয়
ছবি হত্যার শিকার নারী জুডি রদ্রিগেজ সংগৃহীত

৩৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কুইন্সের হত্যাকাণ্ডের শিকার এক নারীর পরিচয় অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯১ সালের আগস্টে ক্রস আইল্যান্ড এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ক্যামব্রিয়া হাইটসের নিকটবর্তী একটি ঘাসযুক্ত এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। কুইন্সের জেলা অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারী হলেন জুডি রদ্রিগেজ। তিনি ১৯৯১ সালের জানুয়ারির ২৩ তারিখে তার মেয়ের প্রথম জন্মদিনের পার্টিতে শেষবার দেখা গিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পর তার পরিবার তাকে নিখোঁজ হিসেবে রিপোর্ট করে।

- Advertisement -

১৯৯২ এবং ১৯৯৩ সালে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজন পুরুষের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত হয়, কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিচয় তখনো অজানা ছিল।

জেলা অ্যাটর্নি ক্যাটজ বলেন, ৩৩ বছর আগে চারজন পুরুষ একটি অজ্ঞাত নারীর নির্মম হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। বিচার হলেও পরিবারটি ৩৩ বছর ধরে তাদের প্রিয়জন সম্পর্কে কোনো উত্তর পায়নি।

তদন্তে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ওই চারজন পুরুষ (তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে) রদ্রিগেজকে গাড়িতে করে কুইন্সের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ক্রস আইল্যান্ড পার্কওয়ে এবং বেল্ট পার্কওয়ের মিলিত এলাকায় নিয়ে যায়। গাড়িতে যাওয়ার সময় দুইজন তার পা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়। সেখানে পৌঁছে একজন তাকে একটি ধাতব ফ্ল্যাশলাইট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারা যান।

অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর নিশ্চিত হওয়া গেল যে মরদেহটি ৩০ বছর বয়সী জুডি রদ্রিগেজের ছিল। তিনি তার মেয়ে স্টেফানি রদ্রিগেজের প্রথম জন্মদিনের দিনই নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার মেয়ে তার দাদু-দাদির তত্ত্বাবধানে বড় হন। তার পরিবার এ ঘটনায় একটি দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে উত্তর পেয়েছে।

‘আমাদের পার্টনার এনওয়াইপিডি এবং প্রধান মেডিক্যাল পরীক্ষকের কার্যালয়ের সাহায্যে আমরা অবশেষে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পেরেছি। আমি আশা করি এটি পরিবারকে কিছুটা স্বস্তি দেবে’।

কুইন্স ডিএ’র শীতল মামলা ইউনিটে এখনো ৪৭ জন ভুক্তভোগী আছেন যাদের পরিচয় উদঘাটন করা হয়নি। ২০২৩ সালে মার্কিন প্রতিনিধি গ্রেস মেং এই ইউনিটের জন্য আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ৫ লাখ ডলারের অনুদান নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই অর্থ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং স্থানীয় শীতল মামলা তদন্ত ও বিচারে সহায়ক হবে।

১৯৯১ সালের এই মামলাটি প্রমাণ করে যে, আধুনিক ডিএনএ প্রযুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কুইন্সের এসব মামলার ভুক্তভোগীদের এবং তাদের প্রিয়জনদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles