প্রজাপতি ত্রিতাল বাজিয়ে বলে গেল – সে চলে গেল।
স্কুল কলেজ অফিস আদালত আর সে, জানালার পাশে বসে চলে যাওয়া দেখছে। কে কখন নামবে। কে এসে বলবে আমিও বাসযাত্রী। পাশে বসতে পারি?
টিকিট দেখতে চাওয়া লোকটার ঘরে পুতুল পুতুল ভবিষ্যৎ, বাবার জন্য নিত্যদিন তার অপেক্ষা।
মধ্যবয়সী একজন স্ত্রী তদারকি করছেন ভুনা খিচুড়ি আর পোড়া ইলিশ কতদূর।
ছেলেগুলো কেক এনে মা’কে বলল, হ্যাপি নিউ ইয়ার। মা চোখ মুছে বললেন, আজ যদি তোর বাবা এই চেয়ারটাতে বসে থাকতেন!
মাঝরাতে সূর্যমুখী দুলে উঠলো ছাদে। আতসবাজি চারিদিকে। পঁচিশ নম্বর এসে গেছে।
আদিবাসী শিশুরা পাহাড়ের ঢল গড়িয়ে খেলা করে চাঁদের আলোতে। সে কি! তুমি তো সুতি শাড়ি পরেছ। খোঁপায় বেলি ফুল। চোখ নিচু হাসি। আবারও বললে বুঝি তেমন কিছু, যার অর্থ দাড়ায় ভালোবাসি।
বাসের সেই জানালার পাশে আপাতত কেউ নেই। তবুও দুলেদুলে যাচ্ছে আগামী পরিবহন। যেতে হবে তিনশ পঁয়ষট্টি। কেউ হয়তো নেমে যাবেন। কেউ উঠবেন। কেউ আগের মতো হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন। বৃষ্টির সম্ভাবনা তাই ছাতা থাকবে হাতে। অহরহ মোবাইল ডাটা তছরুপ করবে একাধিক নাগরিক। কারোর কোলে বাজারের থলিতে তিন লক্ষ ময়লা টাকা। যেতে যেতে এসব দেখা যাবে।
এরই মধ্যে কোন একদিন হয়তো সমগ্র বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে ঢাকা। লাল নীল কালো সুতোর বুননে একটি নকশীকাঁথা যাদুঘর থেকে পায়ে পায়ে নেমে আসবে। ইচ্ছে হলেই ছোঁয়া যাবে তাকে।
স্কারবোরো, কানাডা