অতিরিক্ত কথা ও বাড়াবাড়ি বর্তমান সরকারের মুল কাজগুলোকে মারাত্মক চ্যালেন্জ ও বিপদ ডেকে আনছে। কয়েকদিন আগে একজন লোক বললেন, তিনি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস মানেন না। অবাক হই নি, দু চারজন লোক এরকম থাকতেই পারে কিন্তু তাদেরকে কেউ কখনো চিনতো না। পরিবর্তিত পরিস্হিতিতে এসব লোককে এখন অনেকেই চিনে। মিডিয়া এদেরকে এখন গুরুত্ব দেয়, প্রতিনিয়ত তাদেরকে হাইলাইট করে। ফলে এদেরকে মানুষ চিনে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী এসব বক্তব্য মানুষ ভালভাবে নিচ্ছে না। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ দিলাম, আমলে নিন, না হলে বিপদ আসন্ন।
দেশের কোথাও কোথাও মুজিব সড়ক নামে সড়ক রয়েছে দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে। কোন সরকার সেগুলো পরিবর্তন করে নি। আজ দেখলাম, মুজিব শব্দটি কেটে দেয়া হচ্ছে। এসব কী? বিগত সরকারকে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকার বলা হয়। তাহলে এখন কী হচ্ছে?
স্হানীয় একজন মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে কথা হলো কদিন আগে। জিজ্ঞেস করলাম, কেমন দেখছেন বর্তমান পরিস্থিতি? তিনি মাথা নাড়লেন। ভাল না। অথচ উনারা কখনো আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন না।
একজন মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘুরিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। বিষয়টা সরকারকে চরম বিব্রতকর অবস্হায় ফেলেছে। খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে যদি একজন ভিক্ষুক বা চোরও হতেন, তাহলেও কি তার গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘুরানো জায়েজ হতো? হতো না। কারণ কেউ অপরাধ করলে সেটা দেখবে আইন শৃংখলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যারা এসব কাজ করছে তারা কেউই সরকারের লোক নয়। সরকারের অংশও নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন তারা। কিন্তু বদনাম শতভাগ পাচ্ছে ড. ইউনুস সরকার।
ড. ইউনুস সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়ার করা হচ্ছে। অথচ এই সরকারের মুল কাজ ছিল সংস্কার করা। সেই সংস্কার নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ও সংশ্লিষ্ট কমিশনের লোকজনের স্পষ্ট কোন ধারনা আছে বলে আমার মনে হয় না।
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা এবং আগের দিন প্রশাসন সমিতির বক্তব্য অশনি সংকেত।
তবুও জাতি আশায় আছে, সংস্কার হবে এবং সেই ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করবে। দেখা যাক।
স্কারবোরো, কানাডা