6.2 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত শেখ রেহানার ছেলে-মেয়ে

‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত শেখ রেহানার ছেলে-মেয়ে
ছবি মাঝে টিউলিপ সিদ্দিক সাথে ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং বোন আজমিনা সিদ্দিক

একের পর এক অভিযোগের তীর উঠে আসছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে-মেয়েদের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শেখ রেহানার মেয়ে এবং যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি দমন মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের (৪২) বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি ক্রমেই বাড়ছে। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া একটি ফ্ল্যাট নিয়ে মিথ্যাচারের পর থেকেই চাপে রয়েছেন তিনি। টাইমসের প্রতিবেদন।

এর মধ্যে এবার অভিযোগ উঠলো টিউলিপের ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে। জানা গেছে টিউলিপের ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং বোন আজমিনা সিদ্দিক এমন একটি রাজনৈতিক থিংকট্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

- Advertisement -

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই থিংকট্যাঙ্কের ছড়ানো প্রপাগাণ্ডার বেশিরভাগই নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির বিরুদ্ধে।

টিউলিপের ভাইবোন দুজনেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ পরিচালিত থিংকট্যাঙ্ক—সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-এর (সিআরআই) ট্রাস্টি ছিলেন বলে জানা গেছে। রাদওয়ান একইসঙ্গে সিআরআইয়ের ম্যাগাজিন ‘হোয়াইটবোর্ড’-এর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা গত বছর জানিয়েছিল, তারা একটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করেছে, যারা সংবাদ ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট করে। বিশেষ করে নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পোস্ট করত এসব অ্যাকাউন্ট। ইউটিউব, এক্স, টিকটক ও টেলিগ্রামেও সক্রিয় ছিল এসব অ্যাকাউন্ট।

মেটার ‘সমন্বিত প্রতারণামূলক আচরণ’ নীতিমালা লঙ্ঘন করার জন্য ৫০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যদিও সংশ্লিষ্টরা তাদের পরিচয় এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় থাকার বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবে আমাদের তদন্তে আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের মধ্যে সংযোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে।’

তবে লন্ডন স্কুল অভ ইকোনমিকসের স্নাতক রাদওয়ান কিংবা আগে টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ-এ কর্মরত আজমিনার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি এখন পর্যন্ত।

বিনামূল্যে ফ্ল্যাট ইস্যু নিয়ে গেলো ক’দিন ধরেই কোনঠাসা টিউলিপ। নতুন করে জানা গেছে, টিউলিপ তার বোন আজমিনার (৩৪) মালিকানাধীন ৬.৫ লাখ পাউন্ড দামের আরেকটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন। ওই ফ্ল্যাটও তাদের খালার এক উপদেষ্টার কাছ থেকে পাওয়া।

এছাড়া উত্তর লন্ডনে তাদের মা ১৪ লাখ পাউন্ডের যে পারিবারিক বাড়িতে বাস করেন, তার মালিক বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ একটি শিল্পগোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার বাবা হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

এরমাঝেই, সামনে এলো তার ভাই-বোনদের প্রোপাগাণ্ডা বিষয়ক থিংকট্যাঙ্কের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি। যা নিয়ে নতুন করে বাড়ছে চাপ। অন্যদিকে, তার (টিউলিপ) বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।

গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার হিসেবে নিয়োগ পান টিউলিপ সিদ্দিক। তার দায়িত্ব আর্থিক বাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এবার নিজেই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গেলেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles