ঠান্ডা জেঁকে বসার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতার অনুভুতি প্রকট হয়ে উঠতে থাকায় রাস্তায় থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ছুটির মৌসুম কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনটাই জানিয়েছেন টরন্টোর গ্রহহীনতার সংকটের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সামনের সারির কর্মীরা।
আপনি নবাগত হোন এবং পরিবার থেকে দূরে প্রথম বড়দিন হোক, আপনি যদি কানাডিয়ান হয়ে থাকেন ও পরিবার থেকে দূরে থাকেন, তারা যে বাড়িতে নেই এটা ভাবাটা তাদের জন্য খুবই কঠিন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন তারা নিয়মিত মানুষ। অধিকাংশ সময়ই তারা সবচেয়ে নাজুক। তাই এসব মানুষের কথা ভাবুন। কারণ, তারা কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা আপনি কখনোই জানেন না।
সারা বছরব্যাপী গৃহহীন মানুষদের যে মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এই মৌসুম তাকে আরও খারাপ করছে। যারা রাস্তায় অথবা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন বিশেষ করে তাদের জন্য এই দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা সত্যিই কঠিন।
ডিয়াজ বলেন, গৃহহীন যেসব ব্যক্তি দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারা আশ্রয়প্রার্থী এবং তারাই বর্তমানে নগরীর আশ্রয় ব্যবস্থা ব্যবহারকারী লোকজনের সবচেয়ে বড় অংশ।
সিটি কর্তৃপক্ষ এর আগে জানায়, ২০২৩ সালে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০০। ওই বছরের শেষ দিকে এসে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪ হাজার ২০০।
বর্ধিত শরনার্থীদের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্র যথেষ্ট কাজ করেছে বলে জানান ডিয়াজ। তিনি বলেন, তাদের জন্য আমাদের শয্যা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, তারা একটি নতুন দেশে এসেছেন এবং তাদের কাছে কোনো ধরনের রসদ বা সহায়তা নেই। তার আশ্রয়কেন্দ্র সম্প্রতি বাসিন্দাদের জন্য খেলাধুলা, গান ও খাবারের বন্দোবস্ত রেখে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যাতে করে তারা নিজেদেরকে কম বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। যতটা সম্ভব আশ্রয়কেন্দ্রকে আমরা আনন্দদায়ক করার চেষ্টা করছি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.