আমরা যখন নতুন বছরে পা রাখছি তখন ডা. টেরিসা ট্যামের চোখ এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লুর দিকে। উদীয়মান এই ভাইরাসটিতে কানাডায় এ বছর প্রথম কেউ আক্রান্ত হয়েছে।
একই সময়ে কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হামের ওপরও ঘনিষ্ঠ নজর রাখছেন। দুই দশকের বেশি সময় আগে ভাইরাসটি কানাডা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এখন দ্রুত গতিতে ফিরে আসছে।
এইচ৫এন১ হচ্ছে উচ্চ প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা বন্য পাখির মাধ্যমে পরিবাহিত হয় এবং বৈশি^কভাবেই এটি বাড়ছে। এর ফলে কানাডার বেশ কিছু পোল্ট্রি ফার্ম ধ্বংস করে ফেলতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও আক্রান্ত কিছু গরু মেরে ফেলতে হয়েছে। কিন্তু মানবদেহে এর ছড়িয়ে পড়াটা বিশেষভাবে উদ্বেগের।
গত ১৮ ডিসেম্বর বছর শেষের এক সাক্ষাৎকারে ট্যাম বলেন, যেটা নিয়ে আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন সেটা হচ্ছে এর ক্লিনিক্যাল আউটকামের সক্ষমতা। সেটা হতে পারে উপসর্গবিহীন সংক্রমণ থেকে শুরু করে গুরুতর অসুস্থতার মতো বিরল ঘটনা। সুতরাং, আমাদের এ ব্যাপারে সত্যিই খুব বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
কানাডায় এখন পর্যন্ত এইচ৫এন১ এ আক্রান্ত একমাত্র ব্যক্তি ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এক কিশোর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। ওই কিশোর কীভাবে আক্রান্ত হলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত তা জানতে পারেননি।
ট্যাম বলেন, ভাইরাসটির কারণে আর কেউ অসুস্থ্য হননি, যা আশাব্যঞ্জক। কারণ, এর দ্বারা এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, এখন পর্যন্ত এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়নি।
সাধারণ জনগণের ঝুঁকির সম্ভাবনা এখনো কম বলে ধরা হলেও ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ৬৫ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই খামারকর্মী। অধিকাংশ সংক্রমণই মৃদু ধরনের। উপসর্গের মধ্যে ছিল কেবল পিংক আই।