-0 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী !

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী !
ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি হলেন কানাডার কনজারভেটিভ দলের নেতা Pierre Marcel Poilievre

ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি হলেন কানাডার কনজারভেটিভ দলের নেতা Pierre Marcel Poilievre। তিনি পরবর্তী নির্বাচনে জিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবেন এতে দ্বিমত পোষণ করার আর কোনো অবকাশ নেই।

আপনারা বলবেন ভোটের আগেই আপনি ইনি প্রধানমন্ত্রী হবেন কীভাবে বলছেন, তাই তো? উত্তর হলো সোজা, ক্যালকুলেশন। হিসেবটা পানির মতো সোজা।

- Advertisement -

তার আগে বলে নিই এই ব্যক্তি যতটা না ট্রুডোর মতো লম্বা, কিন্তু ভাগ্যটা বেশ লম্বা। কারণ ইনার আগে বেশ কয়েকবার কনজারভেটিভ দলের নেতা বদল হয়েছে। কেউই ভোটে পাশ করেন নি, বা যে কোনো কারণে ভালো পারফরমেন্স না করার কারণে তাঁদের প্রত্যেককে দল থেকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়েছে। সেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী Stephen Joseph Harper চলে যাওয়ার পর থেকে। এই Pierre Marcel Poilievre হলেন বতর্মানে দলটিতে লিডারশিপ নেতা। যদিও গত ইলেকশনে তিনি ট্রুডোর সঙ্গে জিততে পারেন নি। ট্রুডো তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন যদিও সেটা ছিল দ্বিতীয়বারের মতো মাইনোরিটি গভার্মেন্ট।

Pierre Marcel Poilievre এমনই ভাগ্যবান বলতে হবে গত ইলেকশনে হারলেও তিনি দলটার লিডারশিপ নেতা হিসেবে বহাল ছিলেন। এখন দেখুন ক্যামনে ম্যাজিকে তাঁর ভাগ্য পাল্টে গেল!

ট্রুডো তো বিভিন্ন চাপে মাত্র পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দলের পরবর্তী নেতা বাছাই হলে তিনি বাই-বাই খোদা হাফেজ বলবেন। সেটা মার্চের ২৪ তারিখ নাগাদ হবে। সেই নেতা নির্বাচনের পর আসল ইলেকশনের তারিখ ঘোষণা হবে। লিবারেল পার্টির নতুন নেতা জিততে পারলে তিনিই অটোমেটিক দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ট্রুডো কি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন? প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন? উত্তর হলো, না। দলের যিনি নেতা হবেন তিনিই প্রধানমন্ত্রীর জন্য লড়বেন ও হবেন। ট্রুডো তো দলের নেতা থেকে পদত্যাগ করেছেন বা করতে হয়েছে।

এখন কথা হলো, ট্রুডোর লিবারেল পার্টির নতুন নেতা থাকতেও কেন Pierre Marcel Poilievreকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বলছি তাই তো?

লিবারেল পার্টির নতুন নেতা জিততে পারবেন না। কারণ তাঁর হাতে বেশি সময় থাকবে না জনগণের কাছে দলের বা নিজের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরার।

আগামী ভোট হবে মে মাসের দিকে। জুনে কানাডার নতুন, ফ্রেশ প্রধানমন্ত্রী আসবেন। তিনি হলেন এই Pierre Marcel Poilievre। আমার এই পোস্টটা save করে রাখেন। যদি না হয় তখন বলবেন।

এখন বলি এই ব্যক্তির কপাল আসমান সমান প্রশস্ত হলো ক্যামনে। নরমালি ইনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তেমনটা পপুলার বা তাঁর vision of politics তেমন হাই লেভেলের না,এক। আরেক হলো, তিনি ইমিগ্রেশন বিরোধী। ট্রাম্পের দলের সাপোর্টার। এসব নানান কারণে সাধারণ ভোট হলে উনি জিততে পারতেন না।

কিন্তু ট্রুডো তাঁর পথ থেকে সরে দাঁড়ালে সামনে গোল দেওয়ার কেউ নেই এখন। তাই রেফারি যখন ওয়ান-টু-থ্রি বলে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে বলবেন, গো, তখনই Pierre Marcel Poilievre বলটা ফাঁকা গোল পোস্টে কিক করবেন। সেখানে তো বল ধরার কোনো গোলকিই নেই।

সো আগামী জুনে এই নেতা এক রকম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবেন।

আর ইনি এতো ইমিগ্রেশন প্রেমিক না। তারপর শুনতেছি তিনি কি-কি বেনিফিটস কাটবেন যেমন, পেনশন এসব। আমি শুনেছি আরকি অন্যান্য নেতার বক্তব্যে। তাহলে দেখা যাবে যে তিনি গরিবদের কাছ থেকে নিয়ে ধনীদের দেবেন এমন নাকি তাঁর প্ল্যান আছে। কারণ ট্রুডো ছিলেন মিডল ক্লাস মানুষের জন্য নিবেদিত। এই নেতার দল হাই ক্লাস মানুষের সাপোর্টার। আর এনডিপি সর্ব নিম্ন আয়ের মানুষের সাপোর্টার এমনটাই শোনা যায়। সবকিছু  জানা যাবে, বোঝা যাবে। দেখা যাক কী হয়!

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

টরন্টো, কানাডা

জানুয়ারি ৭, ২০২৫

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles