বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ইরফান খান। বেঁচে থাকলে গত ৭ জানুয়ারি পালন করতেন নিজের ৫৭তম জন্মদিন। এর কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট একবিংশ শতাব্দীর সেরা ৬০ জন অভিনেতার তালিকা প্রকাশ করেছে। যে তালিকায় একমাত্র ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
তবে প্রয়াত প্রতিভাবান এ অভিনেতার জীবনের শুরুটা সহজ ছিল না। ১৯৬৭ সালে ভারতের রাজস্থানে এক পশতু ভাষী মুসলিম পরিবারে জন্ম ইরফানের। শৈশব থেকেই ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন তিনি। জয়পুরের ক্রিকেট দলের হয়ে টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন; কিন্তু অর্থাভাবে সেই সুযোগ হারাতে হয়েছিল তাকে।
এক সাক্ষাৎকারে ইরফান খান বলেছিলেন, ‘টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে গেলে ৬০০ রুপি দিতে হত। কিন্তু আমার কাছে তখন যাতায়াতের জন্যও টাকা ছিল না। কার কাছে টাকা চাইব তা-ও বুঝতে পারছিলাম না। অর্থাভাবে আর ক্রিকেট খেলা হল না আমার। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নও অধরা থেকে গেল।’
আর তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ কমে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। মূলত নাট্যাভিনেতা মামাকে দেখেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ে ইরফানের। নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে কলেজের পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৪ সালে ভর্তি হন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায়। তবে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হন এ অভিনেতা।
ইরফান জানিয়েছিলেন, ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় ভর্তির জন্য ৩০০ রুপি দেওয়ার মতো সামর্থ্য তার ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত দিদির সহযোগিতায় সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।