বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিম ২০০৯ সালে কানাডার এসেছিলো। আমরা সেই খবরটি জানার পর টরন্টোস্থ অনলাইন সাপ্তাহিক শহিদুল ইসলাম মিন্টুর বেঙ্গলি টাইমস এবং ঢাকার দৈনিক আমাদের সময়ে রিপোর্ট করি। সেই সাথে পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিনসহ বাংলাদেশ সরকারের উর্ধতন পর্যায়ে অবগত করি- তার বর্তমান অবস্থান কোথায়, কার বাড়িতে, কোন হোটেলের কত নম্বর রুমে, কখন এবং কোন ফ্লাইটে, কোথায় যাচ্ছেন। কিন্তু ইন্টারপোলের মাধ্যম্য তখন এই খুনিকে ধরার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আমাদের নিউজটি ছিলোঃ
‘গত ২ নভেম্বর ডালিম এসেছিলেন কানাডার রাজধানী অটোয়া। অটোয়ার ৩৩ নিকোলাস স্ট্রিটের নভোটেল হোটেলের ৩৩৪ নম্বর রুমে ছিলেন একটানা ৮ দিন। সেখানে বসে এক ইমিগ্রেশন কনসালটেন্টের সাথে দু’দফা বৈঠক করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইমিগ্রেশন বিষয়ক আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। হোটেল রুমে বসেই প্রচুর ফোন কল করেছেন ডালিম, যার বেশিরভাগই পাকিস্তান, হংকং এবং লিবিয়ায়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে নভোটেল হোটেলের রুম ডিভিসন ম্যানেজার এলেক্স গ্রিকোরেস্কু বলেন, কাস্টমারের কোনো তথ্য আমরা থার্ড পার্টির কাছে সরবরাহ করতে পারিনা। তাই বিস্তারিত কিছু জানাতে পারছি না।
তবে বিশ্বস্থ সূত্র মতে, ১৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় নভোটেল থেকে চেক আউট হন ডালিম। একইদিন রাতে আসেন টরন্টো। সেই রাতে মার্খামের এক আত্নীয়ের বাসায় রাত কাটান।
পরের দিন ১৪ নভেম্বর (২০০৯) রাত ১২ টা ১০ মিনিটে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের সিএএক্স-২৭ নম্বর ফ্লাইটে হংকং-এর উদ্দেশ্যে টরন্টো ত্যাগ করেন।
যাবার আগে খুনি নূরের সাথেও যোগাযোগ করছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
কিন্তু সেদিন তাকে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি!
ইস্টইয়র্ক, কানাডা