10.7 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল

‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে ন্যস্ত রাখার জন্য ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

- Advertisement -

ইসি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ আইন করে। ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়।

সেই মোতাবেক এখনো এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই কার্যক্রমটি ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা ২০২৩ সালের নতুন আইনটি বাতিল করার দাবি জানান। এরপর আজ আইনটি বাতিল হলো।

এর আগে গতকাল বুধবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠায় ইসি। চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ (১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। পাশাপাশি, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ১১ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৩(গ) এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী, ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, হালনাগাদসহ প্রাসঙ্গিক কার্যাদি নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত।

এই কার্যক্রম থেকে ফলাফল হিসেবে যে দুটি বিষয় পাওয়া যায় তা হচ্ছে; ক) ভোটার তালিকা, এবং খ) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।

সূত্র : কালের কন্ঠ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles