চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যা না থাকায় তারা সংকটে রয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডায় নারীর ও শিশুদের আশ্রয়ণগুলো। উইমেন’স ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড হোমলেসনেস নেটওয়ার্ক তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, কানাডার ডমেস্টিক ভায়োন্সে শেল্টারগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬৯৯ জন নারী এবং ২৩৬ জন শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে বহ নারীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, এটা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।
লোকজন যখন বাড়ি ছাড়ে তখন তারা একটি নিরাপদ স্থান খোঁজ করে। কিন্তু শেল্টার শয্যাগুলো পূর্ণ থাকে এবং আর কোনো স্পেস থাকে না তখন অনেক মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হয়।
ভিক্টিম সার্ভিসেস টরন্টো গত বছর ১৮ হাজারের বেশি কল গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ কল ছিল লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সংক্রান্ত। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বহু নারী মাসের পর মাস শেল্টারে বসবাস করছেন। সাশ্রয়ী আবাস না পেয়ে এমনটা করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ব্যারির উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন’স শেল্টার এ বছর আশ্রয়প্রার্থী ৬৫০ জন নারী ও শিশুকে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্টারির লন্ডন ও মিডলসেক্স কাউন্টিতে বেশ কয়েকটি নারী ও মিশু আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করছে অ্যানোভা। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত তারা ২ হাজার ৩০০ জনকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অ্যানোভার নারী ও শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ বেশি নিবাসী আশ্রয়ের সুযোগ পেয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা আরও ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.