![টরন্টো বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল অফিসের অভিজ্ঞতা ! টরন্টো বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল অফিসের অভিজ্ঞতা !](https://www.thebengalitimes.com/wp-content/uploads/2025/01/Picture8-3.jpg)
বেশ কিছুদিন আগে আমার কানাডিয়ান পাসপোর্ট রিনিউ করার কারণে পাসপোর্টে NVR অর্থ্যাৎ No Visa Required সিল লাগানো দরকার ছিল। সিল সহ পাসপোর্ট অলরেডি পেয়ে গেছি কিন্তু FB যেহেতু উইকএন্ড ছাড়া খুলিও না বা কিছু পোস্টও করি না তাই আমার অভিজ্ঞতা লিখতে একটু দেরি হলো।
আমি অনলাইন NVR এর এপ্লিকেশন কমপ্লিট করে, অনলাইনে ফি জমা দিয়ে গত ৬ তারিখে আমার অনলাইন এপ্লিকেশনের প্রিন্ট আউট নিয়ে কনসুলেট অফিসে যাই। আমি যাওয়ার আগে আমার কাছে কনসুলেট অফিসের ২ অফিসারের রেফারেন্স ছিল, বাংলাদেশের অন্য একটি দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারির রেফারেন্সও ছিল, কিন্তু আমি সেগুলি গোপন রেখে চেয়েছিলাম একেবারে একজন সাধারণ বাংলাদেশী কানাডিয়ান হিসাবে দেখতে যে আমি কি ধরণের সেবা তাদের কাছ থেকে পাই।
যদিও বিগত কয়েক দশকে আমি ইউরোপ এবং কানাডাতে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসে কোনো ধরণের নীতিবাচক বেবহার পাইনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মাত্র কয়েকবার physically গেছি, তাছাড়া অধিকাংশ সময়ই বাই-পোস্ট পাঠিয়ে থাকি এবং সময়মত কাজ হয়ে যায়।
তবে এবার চেক করে দেখার বিশেষ কারণ ছিল।
আমি অনালাইনে আগের থেকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে গত ৬ জানুয়ারী দুপুর ২টার সময় কন্সুলেটে অফিসে যাই। কনসুলেট অফিস দেখতে আমার কাছে অটোয়ার থেকে অনেক ভালো মনে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের কনসুলেট অফিসের মতো। নিচে পার্কিংও বেশ সস্তা।
আমি যাওয়ার দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে কাউন্টারের ডাক পাই। সেখানে পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ অনলাই এপ্লিকেশনের প্রিন্ট-আউট দেই। কাউন্টারের ভদ্র্লোক শুধুমাত্র এপ্লিকেশনের প্রথম পেইজটি নিয়ে চেক করে ওখানে একটি সিল মেরে বললেন, “আপনি আমাদের কাছ থেকে ইমেইল পাওয়ার পরে এই রিসিটটি নিয়ে নিজে বা অন্য কাউকে দিয়ে পাঠিয়ে দিবেন, কোনো এপয়েন্টমেন্ট লাগবে না”, এবং বললেন তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে আমার মাত্র ১৫ মিনিট লেগেছে।
ঠিক তার ২ বা ৩ দিন পরে উনাদের কাছ থেকে ইমেইল আসে যে আমার পাসপোর্ট রেডি। তারপর ওখানে গিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে পাসপোর্ট নিয়ে আসি।
টোটাল জিনিসে আমার কোনো ধরণের ঝামেলাই হয় নি, এবং সময় খুব কম লেগেছে। সব মিলিয়ে এই অভিজ্ঞতা আগের থেকেও অনেক ভালো। তবে অনালাইন ফর্ম ফিল আপ আমি বলবো এখনো ভালো User-Friendly হয়ে উঠেনি। অনেক ধন্যবাদ ব্রাম্পটনস্থ আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইকে অনালাইন ফর্ম-ফিলাপের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।
যাহোক, আমার পাসপোর্ট আনার পরপরই শুনতে পারলাম ফি প্রায় ৫০ ডলার বেড়ে গেছে। আমার মনে হয় এইটা একবারে একটু বেশিই বাড়ানো হয়েছে।
আমি জানি না, আমার হয়তো ভাগ্য ভালো তাই সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে, কারণ কন্সুলেট সেবা সমন্ধে অনেক নীতিবাচক কথা শুনি।
তবে কন্সুলেটে নীতিবাচক হোক বা ইতিবাচক হোক আমাদেরকেও কিছু কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে তাহলে কাজগুলি একটু সহজ হবে। যেমন আপনার খুব ভালো করে ফরমটি পূরণ করা, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তাদের ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী নেওয়া, আগের থেকে এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া, ফিস আগের থেকে দিয়ে রিসিট নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি জিনিস আপনার কাজকে expadiate করতে পারে।
বাংলাদেশ ছাড়া আমি পৃথিবীর প্রায় ২৫/৩০ দেশে গিয়েছি এবং এগুলির অর্ধেকেরই বেশি আমি কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাওয়ার আগে গেছি যখন আমি ছাত্র এবং আমার টাকাপয়সা খুব কম ছিল। প্রায় প্রতিটি দেশেই ভিসা নিতে হয়েছে কিন্তু আল্লাহর রহমতে কোথাও কোনো সমস্যা হয় নাই।
আমি আশা করি শুধু টরন্টো কনসুলেট অফিস নয়, পৃথিবীর সব কনসুলেট অফিসগুলি যেন এমনই সেবা সবাইকে প্রদান করা অব্যাহত রাখেন।
টরন্টো, কানাডা