
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিনে তাকে নিয়ে লিখেছেন মেয়ে শামারুহ মির্জা। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন তিনি।
শামারুহ লেখেন, ‘আমরা দুই বোন যখন ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা চাকরি ছেড়ে পুরো পরিবারকে ঢাকায় ফেলে ঠাকুরগাঁয়ে চলে যান। এক-দুই দিন না, বছরের পর বছর আমরা বড় হয়েছিলাম বাবাকে কাছে না পেয়ে, কারণ তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করবেন।’
‘খুব কঠিন ছিল আমাদের বড় হওয়া। আমরা কষ্ট পেয়েছি, বিরক্ত হয়েছি কিন্তু আমার বাবাকে কোনোদিন নিরাশ হতে দেখিনি। আমরা টুক টুক করে বড় হলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি, পিএইচডি করেছি, চষে বেরিয়েছি পৃথিবী। প্রায়ই ভাবি, আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন, তার জন্যেও আমার এই জীবনটা সম্ভব ছিল। কিন্তু তিনি কঠিনকে ভালোবেসেছিলেন আপনাদের জন্য। সত্যিই বলছি। আপনাদের জন্য।’
জাতীয় সরকার ছাড়া কোনও সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়জাতীয় সরকার ছাড়া কোনও সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়
‘মির্জা আলমগীর এই ৭৭ বছরেও হতোদ্যম হননি। তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে ১২ বার, আওয়ামী হামলায় আহত হয়েছে, হাসিনা ক্যাডাররা তার চরিত্র হত্যার চেষ্টা করেছে, এখন তাকে বাংলাদেশে উগ্রপন্থীদের লক্ষ্যবস্তু তৈরি করা হয়েছে। শরীরটাও ভালো না। আমি তার মেয়ে- আমার দুশ্চিন্তার কোনো শেষ নেই। জিজ্ঞেস করলেই আব্বু বলে, লড়াই আমাদের করতেই হবে শেষ পর্যন্ত। মির্জা আলমগীর বাসায় আমাদের যা বলেন, যে ভাষায় বলেন, আপনাদেরও ঠিক তাই বলেন – মন থেকে বলেন। তার চেহারা একটাই।’
‘মির্জা আলমগীর প্রতিশোধের জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি শুধু একটাই জিনিস চেয়েছেন সারা জীবন- গণতন্ত্র, সাধারণ মানুষের উন্নতির রাজনীতি।’
শামারুহ আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশের আজকের পরিস্থিতিটা খুবই সহজ আসলে, আপনি যদি চিন্তা করেন। হয় আপনি সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের পক্ষে, হয় আপনি ইনসাফের পক্ষে, না হয় আপনি বিনা বিচারে মানুষকে হত্যার পক্ষে, রামদা আর হাতুড়ির, ফ্যাসিজমের পক্ষে।’
‘ক্লিশে মনে হতে পারে কিন্তু আব্বুর সারা জীবন না হলেও অন্তত আমার সারা জীবনটুকু তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্যেই দিয়েছেন। মানুষটা তার যৌবন দিয়েছেন এই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য, এই শেষ বয়সে এসে গণতন্ত্রের জন্য লড়ছেন। দৃঢ় সংকল্পে দাঁড়িয়ে আছেন।’