0.2 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগ করতে হতো : সারজিস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগ করতে হতো : সারজিস
সমন্বয়ক সারজিস আলম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে নিজ জেলা পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে কনসার্ট ফর ইউথের মঞ্চে এই কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের একটা স্পেশাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলাম।

হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে হতো। তবে আমরা যখনই সুযোগ পেয়েছি সেই শৃঙ্খল ভেঙে আমরা বুক চেতিয়ে ওই ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর শাহবাগে লড়াই করেছি। আমাদের সহযোদ্ধা জীম সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ছিল। ১১ জুলাই সে প্রথম ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে।

- Advertisement -

পরে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। আমরা চাই তরুণ প্রজন্মের অতীতে ভুল থাকতে পারে, সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কিন্তু তারা এখন নিজেদের সংশোধন করতে চায়। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়।

তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের জন্য আমরা সকল চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তত। সেই সাহস আছে। যেই সাহস নিয়ে খুনি হাসিনাকে তাড়িয়েছি। সেই সাহস নিয়ে পঞ্চগড়কে দেশের সেরা জেলা করা সম্ভব। যেই খুনি হাসিনা ভেবেছিল মরার আগে তাকে কেউ সরাতে পারবে না।

সেই খুনি হাসিনা আমাদের কারণে জান নিয়ে পালিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ বছরের মধ্যে পঞ্চগড় সুগার মিল চালু হবে। রেলস্টেশনের নাম পঞ্চগড় হবে। ট্রেনের বগি দেশের সেরা বগির মতো হবে। পঞ্চগড়ের একটি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় লাগবে। পঞ্চগড়কে পর্যটন নগরী করতে হবে। ২৩ তলা উঁচু ওয়াচ টাউয়ার নির্মিত হবে। আমাদের এই স্বপ্নগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে দেখতে হবে। শৃঙ্খলা মেনে বাস্তবায়ন করতে হবে। যখন এগুলো বাস্তবায়ন করব দলাদলি ও ভেদাভেদ করা যাবে না।

সারজিস বলেন, গুজব লীগ গুজব ছড়াবে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে মুখে চুনকালি মেখে যখন আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারে না। তখন কাটাতাঁরের ওপার থেকে তার আম্মার কথায় প্রপাগান্ডা ছড়ায়। তাদের জননী ও তাদের কোনো সন্তানকে এই বাংলাদেশে আমরা আর প্রশ্রয় দেব না।

যেই তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্নভাবে টিটকারি করা হতো। বলা হতো এরা বখে গেছে, এরা ফোন নিয়ে ব্যস্ত, এরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে থাকে। সেই তরুণ প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধভাবে এই খুনি হাসিনাকে তাড়িয়েছে। আমার পাশে যখন আমার এই সহযোদ্ধারা দাঁড়ায়, যখন এক থেকে আমরা অনেক হয়ে যাই তখন পৃথিবীর আর কোনো পরাশক্তির সেই চোখ নেই যে চোখ দিয়ে তারা আমাদের দিকে তাকাতে পারে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles