8.9 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

দেশে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা, প্রস্তুত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন?

দেশে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা, প্রস্তুত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন? - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ কারাগারে, কেউ বিদেশে, আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটি বর্তমানে এক বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতিবেদনে আ ক ম মোজাম্মেল হক, নাহিম রাজ্জাক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পঙ্কজ দেবনাথ, সাইফুজ্জামান শিখর, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

- Advertisement -

প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, “গোপনে আশ্রয় নিয়ে হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, আইনের শাসন ফেরার অপেক্ষায়।”

তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই প্রতিবেদনকে “মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিয়ে দাবি করেছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার অংশ।

প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ৩৭টি হত্যা মামলা এবং প্রায় ১০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিদিন তার ঠিকানায় আইনি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে, দলের আরেক নেতা জানিয়েছেন, “আমার বাড়ি, বাবার বাড়ি এবং ভাইদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নেতাকর্মীদের মধ্যে দেশে ফিরে জনগণের জন্য কাজ করার আশা এখনো টিকে আছে। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য এবং সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, “আমরা দেশ পুনর্গঠনের সংকল্প নিয়েছি।”

আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের সম্পত্তি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। দলের এক-তৃতীয়াংশ নেতা কারাগারে, আরেক-তৃতীয়াংশ দেশের বাইরে লুকিয়ে রয়েছেন। বাকিরা দেশে আত্মগোপনে আছেন।

শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, “দলটির হাজার হাজার কর্মী উচ্ছেদের শিকার। তারা ঠিকমতো খাদ্য কিনতে পারছে না। তবে তৃণমূলের কর্মীদের মনোবল এখনও অনেক উঁচুতে। আমরা ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রত্যাশা করছি।”

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, “সিনিয়র নেতাদের মতে, আমাদের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া উচিত।”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সাধারণত গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বৈষম্যহীনতার পক্ষে সোচ্চার। তবে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে বা এটি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত কিনা তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles