5.2 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫

পর্নোগ্রাফিতে ১৫ বছরের কিশোরী, টার্গেট শিক্ষক-শিক্ষার্থী

পর্নোগ্রাফিতে ১৫ বছরের কিশোরী, টার্গেট শিক্ষক-শিক্ষার্থী
প্রতীকী ছবি

পর্নোগ্রাফিতে মাত্র পনের বছরের এক কিশোরীর নাম ওঠায় তোলপাড় টাঙ্গাইল। টার্গেট ছিল টাঙ্গাইলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আর শিক্ষার্থী। ছবি এডিট করে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করা হতো। গ্রেফতারের পর রীতিমতো বিস্মিত পুলিশ। অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরেই ভূঞাপুরের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পাচ্ছিলেন আপত্তিকর মেসেজ। শিকার হচ্ছিলেন ব্ল্যাকমেইলের। ভুক্তভোগীরা জানালেন, বিভিন্ন গ্রুপ থেকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথমে আসত নক। পাঠানো হতো এডিটেড ছবির নগ্ন ভিডিও। এরপর ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি জানা যাচ্ছিল না তারা আসলে কারা।

- Advertisement -

নিরাপত্তার স্বার্থে নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, আর যারা ভুক্তভোগী তারা তো এসএসসি পরীক্ষার্থী। মেয়েরা এবং কিছু টিচার এদেরকে নিয়ে ছবি নিয়ে ভিডিও বানানো হয়েছে। পর্নোগ্রাফি ভিডিও।

নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগীর মা জানান, আমার মেয়ে আমাকে বলে এগুলা যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আমি কিন্তু সুইসাইড করব। বের করতে না পারলেও আমি কিন্তু মুখ দেখাতে পারব না।

বিষয়টি জানার পর প্রতিকারের চেষ্টা করেন এক মানবাধিকার কর্মী। তাকেও দেয়া হয় হুমকি ধামকি।

ভুক্তভোগী মানবাধিকার কর্মী জানান, একটা মেয়ে এটা কিন্তু অনেক বড় একটা সাহসের দরকার। উইদাউট এনি সাপোর্ট মানে ব্যাকাপ। শুধু ইন্ডিভিজুয়াল একটা মেয়ে এই কাজটা করবে এটা সম্ভব না। ফ্যামিলি হিস্ট্রি যে আসলেই ফ্যামিলিতে এই ধরনের অপরাধের প্রবণতা আছে কি না।

পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগীরা। যোগাযোগ করা হয় গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে। তদন্তে বেরিয়ে আসে আইডি ব্যবহারকারীর পরিচয়। তাতে বিস্মিত পুলিশ অভিযুক্ত মাত্র পনের বছর বয়সী এক কিশোরী। গেল বিশ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভুঞাপুর থানার দায়িত্বরত ওসি এ বিষয়ে বলেন, যে মেয়েই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরই মানে বলতেছে যে আমি ডাউনলোড দিতেছি তোরটা। কালকে আসছে তার মোবাইল। ল্যাপটপ সবকিছু আমরা জব্দ করে নিয়ে আসি। এক পর্যায়ে আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পাই যে এই মেয়ে এগুলা করছে।

একজন কিশোরীর এতবড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় হতবাক সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, অল্পবয়সীদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়ায় বাড়ছে ঝুঁকি। সচেতন থাকতে হবে অভিভাবকদের।

এ বিষয়ে একজন সচেতন নাগরিক বলেন, শিক্ষক ফ্যামিলির মেয়ে আর মেয়ের বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। এত অল্প বয়সে একটা মেয়ে এই ধরনের একটা নিন্দনীয় কাজের সাথে সম্পৃক্ত। এটা আসলে মেনে নেয়ার মতো না।

আরেকজন জানান, প্রযুক্তি কতটা অত্যাধুনিক এটাও একটা ব্যাপার। মানুষের জন্য অনেক ক্ষতিকর এটা তো ঠিক না। এদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা দরকার।

এরিমধ্যে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্তকে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles