ইলেক্ট্রিক বাইক এবং স্কুটারের ওপর মৌসুমি নিষেধাজ্ঞার ফলে নিম্ন আয়ের ব্যক্তি ও প্রান্তিক গ্রুপগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। টরন্টো ট্রানজিট কমিশনে (টিটিসি) দাখিল করা নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টিটিসি যানবাহন ও স্টেশনগুলোতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিচালিত মোবিলিটি ডিভাইস নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে গত অক্টোবরে টিটিসি পর্ষদে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়। সম্ভাব্য অগ্নি দুর্ঘটনার উদ্বেগের কারণে এই সুপারিশ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা গিগ ওয়ার্কার এবং সুবিধবঞ্চিত গ্রুপগুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা পর্যালোনার জন্য পর্ষদ পরবর্তীতে প্রতিবেদনটি টিটিসির রেসাল ইকুউটি অফিসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
টিটিসির পিপল অ্যান্ড কালচার অফিসার সাকিরা নারাইনের লেখা নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের মানুষের যাতায়াতের সাশ্রয়ী মাধ্যম হচ্ছে ই-বাইক। এর বিকল্প দেওয়া হলে তা অর্থনৈতিকভাবে অতটা লাভজনক ও স্বস্তিদায়ক হবে না। প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞার কারণে আয় কমার পাশাপাশি দক্ষতা হ্রাস পেতে পারে। সেই সঙ্গে গিগ ওয়ার্কার এবং ডেলিভারি ওয়ার্কারদের স্বাতন্ত্র কমতে পারে। মৌসুমি নিষেধাজ্ঞা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও গ্রোসারি ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রাপ্তিতে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নারাইন বলেন, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এর বাইরে অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে। পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে মেট্রোালিংক্সের মতো টিটিসিও একই ধরনের নীতি করতে পারে, যেখানে ই-বাইক ব্যাটারিকে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা মানদ- পূরণ করতে হবে।
তবে টিটিসি পর্ষদ এখন পর্যন্ত এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেনি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.