বাবার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে জিপিএস ট্র্যাকারে ওই তরুণীর লোকেশন খুঁজে তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ভারতের কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ওই তরুণীর ‘লোকেশন’ খোঁজা হয় জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করে। এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া সংক্রান্ত বিবাদ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক নারী এবং তার নাবালক ছেলেসহ মোট তিনজন। তাদের মধ্যে কিশোরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাফিয়া সাকিল শেখ নামে ওই তরুণী। তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারে ওই পুরুষের পরিবার।
তার স্ত্রী এবং ১৬ বছরের ছেলে রাফিয়া নামে ওই তরুণীকে খুনের পরিকল্পনা করেন। বাবার ওপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করে নাবালক ছেলে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তি এবং রাফিয়া রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাইপাসে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। প্রাইভেটকার নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন দুজন।
তাদের অনুসরণ করতে করতে পিছনে আসে আরও একটি গাড়ি। তাতে চালক ছাড়াও ছিলেন ফারুকের স্ত্রী, পুত্র এবং ফুফাতো ভাই। তরুণীকে খুনের পরিকল্পনা করে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। বাইপাসে পৌঁছে আচমকা তরুণীর উপর হামলা চালান।
তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় কিশোরই।
গলাতেও কোপ মারা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। কিন্তু তাকে ধরে ফেলেন কিশোরের ভাই। পিছন থেকে তিনি তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। সেই সময়ে তার শরীরে একাধিক কোপ মারে ওই কিশোর।
গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাফিয়ার ‘প্রেমিক’ ফারুক। ফলে গাড়ি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তার পরিবারের সদস্যদেরও নখদর্পণে ছিল। জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে বাবার গাড়িকে অনুসরণ করতে তাই অসুবিধা হয়নি কিশোরের। বাবার পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই সেই কিশোর তরুণীকে খুন করে বলে ধারণা পুলিশের। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তার মা এবং ভাই। তারা তরুণীকে আক্রমণ করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক।