-5.5 C
Toronto
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!
টিউলিপ সিদ্দিক

ব্রিটেনের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছেন দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এই তথ্য দেয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রুশ কম্পানি রোসাটম।

- Advertisement -

এ ছাড়া টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তাঁর ১০ বছরের জেল হতে পারে। কারণ ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, কেউ বিদেশে ঘুষ গ্রহণ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড
হতে পারে।

এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ব্রিটেনে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতিবছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন।

টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তাঁর বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আরো অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

’ লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বাংলাদেশ সরকারের সূত্র জানায়, বৈঠকে এনসিএর প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আনা অভিযোগ তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

ওই সূত্র আরো জানায়, এনসিএ ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এমপির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টাও করতে পারে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles