-5.5 C
Toronto
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

চৌকিতে আমু ফ্লোরে ঘুমান সালমান, খাবার অনেক সময় গন্ধ হয়ে যায়: যেমন কাটছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাজীবন

চৌকিতে আমু ফ্লোরে ঘুমান সালমান, খাবার অনেক সময় গন্ধ হয়ে যায়: যেমন কাটছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাজীবন
ছবি সংগৃহীত

প্রচলিত আছে, টাকার জাজিমে (তোশক) না শুলে ঘুম আসত না পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর। সেই আমু এখন ঘুমান ঢাকা (কেরানীগঞ্জ) কেন্দ্রীয় কারাগারের জলসিঁড়ি সেলের ছোট্ট কক্ষের আম কাঠের চৌকিতে। সেখানে তার সম্বল বলতে আছে তোশক, কম্বল, বালিশ, মগ আর থালাবাটি। বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত আমুর দিন যায় এখন মাদক মামলায় সাজা পাওয়া এক আসামির সঙ্গে গল্প করে। অথচ এক সময় চারপাশে পাইক-পেয়াদায় ঘেরা আমুর পছন্দ ছিল নতুন টাকার বান্ডিল আর স্বর্ণের নৌকা ছিল তার প্রথম পছন্দ। যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তাকে স্বর্ণের তৈরি নৌকা দিতে হতো। আর তদবিরের জন্য দিতে হতো ‘নতুন টাকার বান্ডিল’। গত ৫ আগস্ট পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন আমু। গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। এর পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই কাটছে আমুর দিন। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে তিনি জেল কোড অনুযায়ী বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছেন।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সাবেক এমপি সালমান ফজলুর রহমান ঘুমান কারাগারের ফ্লোরে। গত ২৭ জানুয়ারি রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কথা হয় সালমান এফ রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ফ্লোরে ঘুমাই। আমার সঙ্গে একজন থাকেন। রাতের খাবার বিকেল ৪টায় দেয়। রাত ৯টা বাজতে সেটা অনেক সময় গন্ধ হয়ে যায়। ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেয় না আমাকে।

- Advertisement -

হাসিনা সরকারের পতনের পর সদরঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অত্যন্ত নাটকীয় অবস্থায় গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দফায় দফায় বেশ কিছু দিন রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন আছেন কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আছেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে। তিনিও ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে জেল কোড হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত ও সাবেক সরকারের ‘ভিআইপি বন্দিদের কারাগারে দিন কাটে টিভি দেখে, আড্ডা দিয়ে বা বই পড়ে। তাদের অনেকেই ডিভিশনপ্রাপ্ত। প্রিজনার ক্যাশে (পিসি) টাকা জমা দিয়ে কারাগারের ক্যান্টিন থেকে ভালো খাবারের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। দিনের বেলা সকালে সেল থেকে মুক্ত হয়ে ভবনের করিডোরে, ক্যান্টিনে ও মাঠে আসামিদের এক অন্যের সঙ্গে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেখা করার সুযোগ পান তারা। ডিভিশনপ্রাপ্তদের অনেকেই টিভি দেখার সুযোগ পান। বিটিভি ছাড়া দেখা যায় না অন্য বেসরকারি চ্যানেল। আর কারাগারে পত্রিকার ভেতরে একটি ইংরেজি ও তিনটি বাংলা পত্রিকা পড়ার অনুমতি পান। গ্রেপ্তারের পর কারাবিধি অনুসারে সপ্তাহে একদিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ থাকলেও নিরাপত্তার জন্য এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ দিন পরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্য উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালসহ অনেকে।

অন্যদিকে গ্রেপ্তারের পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আহমদ হোসেন, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাবেক এমপি সাদেক খান, সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি মাসুদা সিদ্দীক রোজী। এ ছাড়া এই কারাগারে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সাংবাদিক মোজ্জাম্মেল হক বাবু, শ্যামল দত্ত, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদসহ গ্রেপ্তার থাকা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কারাগারে একাই দিন কাটান দীপু মনি ডা. দীপু মনির আইনজীবী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাশিমপুর কারাগারের নারীদের ভবনে রাখা হয়েছে দীপু মনিকে। ডিভিশন পাওয়ায় এক রুমে একা থাকেন তিনি। এক মাস আগে দীপু মনির সঙ্গে তার একমাত্র মেয়ে তানি দীপাভলী নাওয়াজের দেখা হয়েছিল। এসময় অঝোরে কাঁদেন সাবেক এ মন্ত্রী। তবে কিছুদিন আগে ডা. দীপু মনির স্বামী কারাগারের সামনে দীর্ঘ অপেক্ষা করলেও দেখা করার সুযোগ পাননি। নিজের একাকিত্বে বই পড়েন তিনি। ২টি বই পড়া শেষ হলে নতুন করে বই দেওয়া হয়। তার কক্ষে দেওয়া হয় একটি পত্রিকা। এ ছাড়া বিটিভি দেখার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সকালে সেল খুলে দিলে কারাগারের উন্মুক্ত করিডোরে হাঁটতে বের হন তিনি। এসময় কারাগারে থাকা পরিচিত অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয় তার। দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম কালবেলাকে জানান, গ্রেপ্তারের প্রথম দিকে পরিবারের সঙ্গে ফোনে সপ্তাহে একদিন কথা বলা ও ১৫ দিন পরপর একবার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি ফোনে কথা বলা একেবারে বন্ধ ও দেখা করার সুযোগ সীমিত করা হয়েছে। ফোনে কথা বলা ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করেছিলাম। তবে এ সুযোগ মিলছে না।

পলাতক স্ত্রীর কথা ভেবে দিন যায় পলকের পলকের আইনজীবী ও স্বজনরা জানান, পলক তাদের জানিয়েছেন, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ আসামিদের হাই সিকিউরিটি ভবনে রাখা হয়েছে পলককে। তার আফসোস স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা তাকে দেখতে যায়নি কারাগারে। স্ত্রীর নামে অনেক সম্পদ করেছেন তিনি। এখন সেই স্ত্রী পলাতক। স্ত্রীর কথা ভেবে উদাস থাকেন সবসময়। পলককে যে রুমে রাখা হয়েছে সেটি খুবই ছোট। রুমের সামনে একটি বড় টয়লেট। রুমে গন্ধ আসে। এক রুমে একাই থাকেন পলক। গত ১৬ জানুয়ারি পলকের সঙ্গে তার তিন বোন ও মা দেখা করেছেন। তাদের কাছে স্ত্রীর খবর জানতে চান তিনি। নিরাপত্তার জন্য কয়েক মাস ধরে পলককে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া নিয়মিত সকালে সেল থেকে বের হয়ে হাঁটেন তিনি। তবে তাকে উদাস লাগে। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে দেখা হলে হাসিমুখে দোয়া করতে বলেন। গত ২৭ জানুয়ারি পলক আদালতে এসে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিকে বলেন, কারাগার থেকে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদের কথা বলতে দিলেও নিরাপত্তার অজুহাতে তাকে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে যেন যে কোনো শর্তে কথা বলতে দেওয়া হয় এজন্য আইনজীবীকে আদালতে বলতে বলেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি আদালতে টিস্যু পেপার দেওয়ায় কারাগারে কড়া নজরে রাখা হয়েছে পলককে।

বারবার মাথা গরম হয় কামরুলের একসময় কেরানীগঞ্জে আলিশানভাবে জীবনযাপন করতেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। রাস্তা দিয়ে বহর ও কাজের জন্য ছিল বহু মানুষ। নির্মম পরিহাস তার স্থান এখন সেই কেরানীগঞ্জের কারাগারে। আলিশান জীবন না পেয়ে কারাগারে প্রায় মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন তিনি। বারবার মাথা গরম হয়ে যায় তার। কারারক্ষীসহ সবার সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। জেল কোড অনুসারে তার কাজে সহায়তার জন্য একজন সাধারণ কয়েদি দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গেও নিজ গৃহবৃত্তের মতো রাগ ঝাড়েন। এটা নিয়ে কারাগারে কয়েদিদের মাঝে বিভিন্ন সময় হাস্যরস দেখা যায়। অনেকে তাকে ‘পাগল রাজাও’ বলে ডাকেন। এদিকে শুধু কারাগারেই নয়, আদালতে আনলেও কামরুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি করেন।

চিন্তায় বেহাল মেয়র আতিক গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে এখন তার ঠিকানা ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে কারাগার সূত্র জানিয়েছেন, সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকেন তিনি। বিশেষ করে তার মেয়ে উত্তর সিটির সাবেক চিফ হিট অফিসারের খোঁজ খবর নেন পরিচিতজনদের কাছ থেকে। চিন্তায় ও কারাগারে একা থেকে সুঠাম দেহের অধিকারী আতিকের স্বাস্থ্য এখন বেহাল। তিনিও কারাগারে ডিভিশনের সব সুবিধা পেলেও চিন্তায় থাকেন।

জগিং করে সময় যায় শাফি মুদাচ্ছিরের এদিকে সাংবাদিক মোজ্জাম্মেল হক বাবু, শ্যামল দত্ত, শাকিল আহমেদের সঙ্গে এক রুমে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে শাফি মুদাচ্ছির খান। তারা ডিভিশন না পেলেও ভালো অবস্থায় আছেন তিনি। নিয়মিত জগিং করেন। পত্রিকা পড়া, টেলিভিশিন দেখা, ভালো খাবার খাওয়ার সুবিধাসহ একসঙ্গে আড্ডা দেওয়ারও সুযোগ পান তিনি। তাদের অনেকে বসে না থেকে গল্পের বই লেখাও শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

অন্য আসামিদের অবস্থা জানা গেছে, সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম, তার ছেলে সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ), সেলিম আলতাফ জর্জ, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, মাহবুব আরা গিনি, জান্নাত আরা হেনরি, গোলাম কিবরিয়া, আবদুর রহমান বদি, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, আলী আজম মুকুল, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, আবদুর রউফসহ ২১ জনের মতো ভিআইপি আসামি আবেদন করে এখনো ডিভিশন পাননি। তারা সাধারণ আসামিদের মতোই কারাগারে রয়েছেন। এক রুমে অনেক আসামি, সাধারণ খাবার পাচ্ছেন তারা। চুরি-ছিনতাই কিংবা মাদক মামলার আসামিদের সঙ্গে কারাগারে একই সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম) জান্নাত-উল ফরহাদ কালবেলাকে জানান, প্রথম শ্রেনির সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কারাগারে ডিভিশন পেয়ে থাকেন। ৫ আগস্টের পর প্রায় ১১৮ জন আসামি ডিভিশন পেয়েছেন। আবার এখনো ২১ ভিআইপি আসামি ডিভিশন পাননি। তাদের সাধারণ বন্দি হিসেবে কারাগারে রাখা হয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্তদের জেলকোড অনুসারে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ডিভিশনপ্রাপ্তদের একটি খাট, কম্বল, বালিশ, তোশক, চেয়ার, টেবিল, ফ্যান দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজের জন্য সবাই একজন করে কয়েদি পেয়েছেন।

ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) প্রিজনস মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারেই আছেন সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ ৩৬ ভিআইপি। তাদের মধ্যে ৯ জন জেল কোড অনুযায়ী ডিভিশন সুবিধা পেয়েছেন। কারাগারে ডিভিশন মানে আলাদা একটি নির্ধারিত ভবনে থাকার সুযোগ পাওয়া। সাধারণ বন্দিদের তুলনায় ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের খাবারের তালিকায় দুয়েকটি ভালো মানের আইটেম থাকে। তবে বেশিরভাগ খাবারই সাধারণ বন্দিদের মতো।’ তিনি বলেন, ‘কাশিমপুর-২ কারাগারে আছেন ৬ ভিআইপি।’ সূত্র: কালবেলা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles