ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শুল্ক পরিকল্পনায় জ্বালানি তেলকে অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। কানাডিয়ান আমদানির ওপর শনিবার থেকে বিপর্যয়কর শুল্ক আরোপের ইচ্ছার কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ওভাল অফিসে বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্প বলেন, তারা যেহেতু তেল পাঠায়, তাই বিষয়টি আমরা দেখব। এটা নির্ভর করছে মূল্য কত তার ওপর। জ্বালানি তেলের দাম যদি সঠিক হয়, তারা যদি আমাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
ট্রাম্প শুরুতে এই দাবি করেছিলেন যে, তার ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি সীমান্ত দিয়ে মানুষের অবৈধ ঢল ও মাদক প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়ায়। তার অভিযোগ পরবর্তীতে সীশান্ত সুরক্ষাকেও অনেক বেশি ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আবারও উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে তার আপত্তির কথা জানান।
প্রেসিডেন্ট বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শুল্ক বাড়তেও পারে নাও পারে।
তবে কানাডিয়ান কর্মকর্তারা এখনো আশাবাদী যে, ওয়াশিংটনের আইনপ্রণেতা ও ট্রাম্পের টিমকে লক্স্য করে চূড়ান্ত কূটণৈতিক উদ্যোগ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে। অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লাব্লাঁ কানাডার সীমান্ত নিরাপত্তার উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে ট্রাম্প মনোনীত বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিককে একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। এসবই বিপর্যয়কর শুল্ক এড়াতে কানাডার চেষ্টার অংশ।
তিন মিনিটের ভিডিওটি লুটনিককে টেক্সট করে পাঠানোর বিষয়টি লাব্লাঁর কার্যালয় বুধবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছে। সেনেটে এই বিলিয়নিয়ারের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার শুনানির পর এই ভিডিও পাঠানো হয়েছে। লুটনিক বুধবার সেনেটরদের বলেন, ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জরুরি পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে আরও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সর্বশেষ এক মাসের জন্যে শুল্ক স্থগিত করেছে আমেরিকা।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.