
বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর একটি বড় অংশ দেশের নাগরিকদের জন্য সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করেছিল কানাডা। এমনকি মাথাপিছু সর্বাধিক টিকা ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছিল দেশটি। কথা ছিল, দ্রুত দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় আনা হবে।কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যেতে পারেনি ট্রুডো সরকার। অথচ প্রয়োজনের কয়েকগুণ বেশি টিকার ক্রয়াদেশ দেয়ার কারণে গত বছরের শেষ দিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডায় গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি মানুষ এর আওতায় এসেছেন। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, টিকাদানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কানাডার অবস্থান ২০তম। শতকরা তিনজন কানাডীয় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন।
এদিকে, গত সপ্তাহে বৃহত্তর টরন্টো ও হ্যামিল্টন এলাকার ১১টি শহররের মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ তাদের সাপ্তাহিক সভায় চলমান কোভিড মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ১১টি অঞ্চলকে সংক্ষেপে ‘জিটিএইচএ’ বলা হয়। তারা বলেন, জিটিএইচএ’র বাসিন্দাদের জন্য এই মেয়র ও চেয়ারম্যানরা প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এতে ফেডারেল সরকার কোভিড-১৯ এর টিকা সংগ্রহ ও সরবরাহে নিয়োজিত, যেখানে প্রাদেশিক সরকার টিকা প্রদানের যাবতীয় কাঠামো প্রণয়নের দায়িত্ব নিয়েছে এবং পৌর কর্তৃপক্ষ মানুষের দেহে সরেজমিনে ওই টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। একই সঙ্গে তারা বলেন, টিকা সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জিটিএইচএ’র এই পৌর কর্তৃপক্ষ সহযোগি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে ৮০ ঊর্ধ্ব বয়সীদের জন্য টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। তবে তারা বলেন, এই টিকা প্রদানের বিষয়টি সরবরাহের উপর ভিত্তি করে একটি বড় ইস্যু হিসেবেই প্রতিপন্ন হবে, কেননা তাতে সরবরাহ সংখ্যা ও নির্ভরযোগ্যতার উজ্জ্বলটি আবদ্ধ।
এই মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ তাদের সকল অধিবাসীকে দ্রুত টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক আহ্বান জানিয়েছেন, যখনই যেখানে তাদের উপযুক্ততা ও সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলেন, এই টিকাদানের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ বিষয়, তাই পরের সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘সেন্ট প্যাটিক্স ডে’-কে কেন্দ্র করে বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি পরিহারযোগ্য বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে চলবেন।