পাবনা শহরে ছাত্র-জনতার ওপর গত ৪ আগস্ট সরাসরি গুলিবর্ষণকারী পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী তুষারকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের শালগাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতাল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত তুষার শালগাড়িয়ার শাপলা প্লাস্টিক মোড় এলাকার কাজী সুলতানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে শহরের গোডাউন মোড়ের শিক্ষার্থীদের মিছিলে সরাসরি গুলি চালানো আবু সাঈদের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্র-জনতা।
ব্যাপক ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোপনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ দেখতে ও ছবি তুলতে আসেন কাজী তুষার। এ সময় ছাত্র-জনতার একজন তাকে দেখে চিনে ফেলে। ছাত্র-জনতা ধাওয়া দিলে তিনি পাশের জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে ডুকে পড়েন।
সেখানে ছাত্র-জনতা ঘিরে ধরে। বিষয়টি বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সেখান থেকে বের করে দিলে ছাত্র-জনতা ব্যাপক গণপিটুনি দেয়। এরপর তিনি দৌড়ে পাশের পশ্চিম শালগাড়িয়া জামে মসজিদে ডুকে পড়লে পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে জনগণের হাত থেকে আমরা আহতাবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।
বৈষম্যবিরোধী মামলা আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে।’