
ওপিয়ডের বাড়তি ডোজ নিয়ে কল গত সপ্তাহে হঠাৎ করে বেড়েছে বলে জানিয়েছে টরন্টো জনস্বাস্থ্য। এ নিয়ে নগরীর অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থায় ওপিয়ডের আধিক্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এ সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে প্যারামেডিকরা বেশি মাত্রায় ওপিয়ড গ্রহণের ১০৮টি সন্দেহজনক কল পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি ছিল গুরুতর। কেবল বুধবারই এ ধরনের ৬০টি কল পান তারা। ২০১৭ সাল থেকে তথ্য সংরক্ষণ শুরু হওয়ার একদিনে এটাই সর্বোচ্চ কলের ঘটনা।
টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, নগরীজুড়েই অতিমাত্রায় ওপিয়ড গ্রহণের ঘটনা ঘটছে এবং এর মধ্যে নানা উপাদান আছে। উচ্চমাত্রার ওপিয়ড নিলে অথবা অন্য ড্রাগের সঙ্গে নিলে শ^াসতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতি হয়। ওষুধটি শক্তিশালী হওয়ায় অতিমাত্রায় গ্রহণের ঝুঁকি বাড়ছে এবং ব্যক্তিকে জাগিয়ে তুলতে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় নালোক্সোনের প্রয়োজন পড়ছে।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ওপিয়ড গ্রহণের ঘটনায় কলের সংখ্যা বাড়ছে। প্যারামেডিকদের কাছে এ ধরনের কলের সংখ্যা সপ্তাহে ৬৮টির পরিবর্তে ১৪৯টিতে উন্নীত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক উপাত্ত আরও বেড়ে যাওয়ার তথ্য দিচ্ছে। যার ফলে টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগকে ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করতে হয়েছে।
সতর্কতায় তারা বলেছে, ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিমাত্রায় ওপিয়ড গ্রহণের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ দিনের গড় মৃত্যুর চেয়ে সংখ্যাটা অনেক বেশি। পুরো টরন্টোজুড়েই এটা ঘটছে। এ ব্যাপারে খুটিনাটি এখনও জানা যায়নি। তবে অনিয়ন্ত্রিত ড্রাগ সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন সাবস্ট্যান্স এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে পার্কডেলে সন্দেহজন একটি ড্রাগ থেকে পাঁচ ব্যক্তির ওভারডোজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত বুধবার জন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করে পুুলিশ। আরেকটি ড্রাগের ব্যাপারেও গত সপ্তাহে একরই রকম সতর্কতা জারি করে পুলিশ। ওই ঘটনায় টরন্টোর ডিয়ার পার্ক নেবারহুডে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।