
বিএমও ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ প্রান্তি লভ্যাংশ ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে শেয়ারপ্রতি ১ দশমিক ৩৩ ডলার করেছে। পাশাপাশি ২ কোটি ২৫ লাখ শেয়ার বাই ব্যাকের ঘোষণাও দিয়েছে ব্যাংকটি, যা মোট শেয়ারের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ২২০ কোটি ডলার মুনাফা করার পর এ ঘোষণা দিল ব্যাংকটি। গত বছরের একই প্রান্তিকে তাদের মুনাফা হয়েছিল ১৬০ কোটি ডলার। দক্ষতা বৃদ্ধির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে এবং তার ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ সত্ত্বেও আগামী বছর ব্যয় মোটামুটি স্বাভাবিকই থাকবে বলে মনে করছে ব্যাংকটি।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যারিল হোয়াইট বলেন, কয়েক বছর ধরে ব্যাংক খরচ সাশ্রয়ের চেষ্টা করছে এবং তার ফলে আমাদের দক্ষতা রেশিও ২০১৮ সালের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৫৪০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। কোনো ব্যাংক তার সম্পদকে কত ভালোভাবে মুনাফায় রূপান্তরিত করতে পারছে তা বোঝা যায় দক্ষতা রেশিও দ্বারা।
দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, এ বছর উচ্চ পারফরমেন্সভিত্তিক বেতন বাদ দিলে গত দুই বছর ধরে ব্যাংকটি খরচ কমিয়ে রেখেছে। কিছু ব্যবসা থেকে সরে আসার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে রিয়েল এস্টেট আরও দক্ষভাবে ব্যবহার ও ব্যাক অফিসের কাযক্রম উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান হোয়াইট। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো আমরা মোকাবেলা করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে এবং আমি মনে করি না যে, আমরা খারাপ অবস্থায় আছি।
ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা টাইফুন টুজুন বলেন, ব্যাংকের প্রত্যক্ষ ব্যয়ে এখন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। মূল্যস্ফীতি ধারণার চেয়ে বেশি হলে সে চাপ মোকাবেলায় ব্যাংকের হাতে অন্য উপায় আছে।
বিএমও বলেছে, ৩১ অক্টোবর সমাপ্ত চতুর্থ প্রান্তিকে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩ দশমিক ২৩ ডলার। গত বছরের একই প্রান্তিকে প্রতিটি ডাইলুটেড শেয়ারের বিপরীতে মুনাফা হয়েছিল ২ দশমিক ৩৭ ডলার। সমন্বয়ের পর প্রতিটি ডাইলুটেড শেয়ার মুনাফা দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৩৩ ডলার। গত বছরের একই প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ২ দশমিক৪১ ডলার। বিশ্লেষকরা সমন্বিত মুনাফা প্রত্যাশা করেছিলেন শেয়ারপ্রতি ৩ দশমিক ২১ ডলার।
চতুর্থ প্রান্তিকে ব্যাংকটি রাজস্ব ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৬০ কোটি ডলার। এক বছর আগের একই প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ডলার।