-0 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

যে কারণে ১৮০ সন্তানের সেই বাবাকে সতর্ক করলেন আদালত

যে কারণে ১৮০ সন্তানের সেই বাবাকে সতর্ক করলেন আদালত

রবার্ট চার্লস অ্যালবন

তার নাম রবার্ট চার্লস অ্যালবন। তিনি মার্কিন বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। শুক্রাণু দান করে বিশ্বজুড়ে ১৮০ জনেরও বেশি সন্তানের বাবা হওয়ার দাবি করেন তিনি। তবে তাকে অনিয়ন্ত্রিত শুক্রাণুদানের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ শহরের পারিবারিক আদালত।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যালবন নিজেকে জো ডোনার পরিচয়ে অনলাইনে শুক্রাণুদানের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীরা তার কাছ থেকে শুক্রাণু নিয়ে সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন।

- Advertisement -

এই শুক্রাণুদাতার দাবি, চীন থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত সারা বিশ্বে তার সন্তান রয়েছে। গত মাসে সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার ১৮০টি জীবিত সন্তান আছে ও তাদের মধ্যে ৬০ জনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে।

তবে অ্যালবনের কাছ শুক্রাণু গ্রহণ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এক যুগলের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের সন্তানের ওপর পিতৃত্বের অধিকার চেয়ে বসেন এই দাতা। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টির সুরাহা করতে কার্ডিফ শহরের পারিবারিক আদালতের শরণাপন্ন হন অ্যালবন।

অ্যালবন এই মামলায় যে যুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তারা সমকামী দম্পতি। সিরিঞ্জ ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যালবনের শুক্রাণু গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে গর্ভধারণ করেছিলেন তাদের একজন। তবে অ্যালবনের দাবি, গর্ভধারণকারী ওই নারীর সঙ্গে তার গোপনে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। অবশ্য আদালত তার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

কার্ডিফের পারিবারিক আদালতের শুনানিতে বলা হয়, ৫০ বছর বয়সী অ্যালবন শিশুটির কাছে ‘অপরিচিত’। কয়েক সপ্তাহ বয়সে একটি ছবি তোলার জন্য মাত্র ১০ মিনিটের জন্য তাদের দেখা হয়েছিল

সব সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক জোনাথন ফারনেস কেসি রায় দেন, পারিবারিক আদালতের রায় অনুযায়ী, অ্যালবন ওই সন্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন না। তবে একটি বার্ষিক কার্ড বা ইমেইল পাঠাতে পারবেন, যা শিশুটিকে একটি নির্দিষ্ট বয়সে দেখানো হবে।

রায়ে বিচারক বলেন, এই শুক্রানুদাতা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নারী ও শিশুদের পণ্য হিসেবে দেখেন এবং বিশ্বব্যাপী সন্তান সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। অ্যালবন প্রকৃতপক্ষে শিশুটির ভালোর জন্য নয়, বরং নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে মামলাটি করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যে অভিবাসন সুবিধা লাভের জন্য মামলাটি করেছেন বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদিও অ্যালবন তা অস্বীকার করেন।

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, একজন দাতা সর্বোচ্চ ১০টি পরিবারের জন্য শুক্রাণু দান করতে পারেন। তবে অ্যালবন নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন দেশে শুক্রাণু দান করছেন, যেখানে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা আইনগত সুরক্ষাপদ্ধতি মেনে চলা হয়নি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles