
সেদিন আমরা অনেক কেঁদেছিলাম
অ—নে—ক
সেদিন মানে বহুবছর আগে।
আমরা অঝরে কেঁদেছিলাম
আমারা কেঁদেছিলাম এই ভেবে আমরা কয়েকদিনের মাঝে
দুজন দুজনের কাছে প্রাক্তন হয়ে যাচ্ছি ।
আমাদের সেদিনের কান্না দেখে, শ্রাবন ধারাও হয়তো থমকে যেতো ।
সেদিন আমাদের কোনো কথাই হয়নি,
অশ্রুই ছিলো আমদের সকল কথার প্রকাশ।
আমাদের চোখে এতো জল জমেছিলো ? ভাবলে বিস্মিত হই।
সেদিন তুমি শুধু একটা কথাই জিজ্ঞেস করেছিলে-
একেবারে চলে এসেছো তো ?
আমি মাথা নেড়ে বলেছিলাম”না”। তারপর-
তারপর শুধু কেঁদেই চলেছিলাম –
যতক্ষণ না আমাদের চোখের পানি শুকিয়ে মরুভুমি হয়ে গেছিল।
তারপর আমরা বোবা হয়ে শুকনো চোখে তাকিয়েছিলাম দুজন দুজনের দিকে কিছুক্ষণ ।
তারপর কতো বছর কেটে গেলো ।
সব স্মৃতিই ধীরে ধীরে ধুসর হয়ে গেলো ,
তোমার আমার দুজনেরই ।
মাঝে মাঝে আমার ধুসর স্মৃতিতে ঘন মেঘ জমে।
আবার সে মেঘও কেটে গেছে।
জীবনের অনেকটা পথ পেড়িয়ে গেছি
কতোটুকু পথই বা বাকি আছে জীবনের?
এই সময় এসে এতোযুগ আগের সময়টুকু –
আমাকে আঁকড়ে ধরে মাঝে মাঝেই।
কিন্তু এখন আমি কাঁদি না, অশ্রু ফেলি না,।
আমার সমস্ত কান্না, সমস্ত অশ্রু বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখি।
আর বুকে লুকিয়ে রাখা অশ্রু সমুদ্রে জেগে উঠা প্রচণ্ড ঝড়ের মতো-
আমার মনটাকে উথাল পাথাল করে তুলে।
এখন আমি কাঁদি না, এ বয়সে কাঁদা যায় না।
এযে বড্ড অশোভন
শুধু চেষ্টা করি, বুকের ভেতরের সমুদ্রের ঝড়টাকে থামাতে।