-0.1 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

সংঘাত আর সহিংসতা

সংঘাত আর সহিংসতা
সংঘাত আর সহিংসতা

এমপি হলে ক্ষমতা পাওয়া যায়, ক্ষমতা পেলে বিনা শ্রমে ধনী হওয়া যায়। অতএব ক্ষমতার রশি কেটে দিন। সংসদে আইন প্রণয়ন ছাড়া এমপিদের কাছ থেকে সকল ক্ষমতা কেড়ে নিন। দেখবেন সংঘাত কমে গেছে, হানাহানি কমে গেছে।

দেশের কোন ব্যক্তি বেআইনিভাবে কোন ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না, যখনই এটা নিশ্চিত হবে, তখনই রাজনৈতিক হানাহানি কমে যাবে।

- Advertisement -

ছাত্র নেতা থেকে শুরু করে পল্লী গ্রামের একজন ওয়ার্ডের নেতার পেছনেও শত শত লোক বেকার ঘুরাঘুরি করে। কেন করে? কোন কিছু পাওয়ার আশায়। কবে যে কি পাবে সে নিশ্চিত করে জানে না। তবে এটা জানে, সে কিছু একটা পাবে। সে না পেলে, তার ভাই পাবে, ভাই না পেলে দুলাভাই পাবে, পাবেই!

আজও একটা ভিডিও দেখলাম। একজন নেতা তার অনুসারীদের বলছেন, অমুক তারিখের মিটিং এ যেতেই হবে। কারণ নেতা এমপি হবেন। এমপি হলে আমরা কিছু পাব! নেতার দোষ নাই। আগের এমপির অনুসারীরা পেয়েছে, আগামী এমপির অনুসারীরা হামলা মামলা খেয়ে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছে। দিন একদিন আমাদেরও আসবে।

দিন যতই যাচ্ছে, ক্ষমতার ভাগীদার বেড়ে যাচ্ছে। নুতন দল আসছে। বলা যায় না, কখন কোন ষড়যন্ত্র হয়!

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির দরকার নাই বলা হয়েছিল ছাত্রলীগের আমলে। তখন সেই ক‍্যাম্পাসে ঢোকা যাচ্ছিল না। এখনতো তারা নেই। এখন কেন ছাত্র রাজনীতি থাকবে না? অন‍্যপক্ষ বলছে, আমরা না থাকলেও তোমরাতো আছ! তোমরা কেন থাকবে?

সবকিছু মিলিয়ে একথা দিবালোকের মত পরিস্কার যে ক‍্যাম্পাসে হোক আর রাজপথে হোক, ক্ষমতার অবৈধ ব‍্যবহারের সুযোগ না থাকলে কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না। শ্লোগান দেবার লোক পাওয়া যাবে না।

তাহলে এখন যে হাজার হাজার কর্মী ডাক দিলেই পাওয়া যায়, তারা কোথায় যাবে? সোজা উত্তর। সবাই যার যার কর্মসংস্থানের খোঁজে ব‍্যস্ত হয়ে পড়বে। দুপুরে না হলেও রাতে তো একবেলা খাবার জুটাতে হবে!

অতএব ঘুরে ফিরে সেই একই কথা। রাজনীতির নামে এইসব হানাহানি বন্ধ করতে হলে, অবৈধ ক্ষমতার ডানা কেটে দিতে হবে। এটাই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। এইটা যদি এবারও না করা যায়, তাহলে বার বার দেশে বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লব ঘটতেই থাকবে।

 

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles