
বিনা অনুমতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিমেল প্রবেশ করে বলে সমালোচনার ঝড় উঠে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে এই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে আসা এক মেয়েকে হলে রেখে যেতে আসেন। কিন্তু হলের মূল ফটকের ভেতরে ছেলেদের প্রবেশে কোনো অনুমতি নেই।
নিরাপত্তার কারণে পরিচয় গোপন রেখে হলের এক ছাত্রী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিমেল কয়েকজন কর্মী নিয়ে হল গেটে আসেন। তারপর এক মেয়েকে হলে দিয়ে যেতে উনি ভেতরে ঢুকে পরেন। পরে এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আরেক ছাত্রী বলেন, আমি বাইরে থেকে আসছিলাম। তখন দেখি হলের সামনে অনেক ভিড়। ঢুকেই দেখি ছাত্রদলের হিমেল ভাই। এটা তো ঠিক না। ছাত্রী হলে ছেলেরা কেন ঢুকবে!
হল গেটের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী সেলিম বলেন, ছেলেদের ঢুকার কোনো অনুমতি নেই। হিমেল ভাই পরীক্ষার্থী মেয়েটাকে দিতে এসেছিল, সঙ্গে ৭-৮ জন বাইরে দাঁড়ানো ছিল।
জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, এক অসহায় নারী শিক্ষার্থী এসেছিল। সে আমাদের একজনের পরিচিত। তার থাকার জায়গা নেই। আমরা তাকে হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে গিয়েছিলাম।
গেটের ভেতরে ঢুকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গার্ডদের কাছে বুঝিয়ে দিতে গিয়েছিলাম, আর কিছু না। আমি বুঝতে পারিনি।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘হলে কোনো পুরুষ ঢুকার কোনো অনুমতি নেই, এটা তারা করতেই পারে না। এটা কি ধরনের কাজ, মেয়েকে দিতে আসলে হলে কেন প্রবেশ করবে! আমি তো তেমন কিছুই জানি না, দেখছি ব্যাপারটা।’