-0.8 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

পরকীয়ার বলি স্কুলশিক্ষিকা মিলি: স্বামী-ছেলেসহ চারজন অভিযুক্ত

পরকীয়ার বলি স্কুলশিক্ষিকা মিলি: স্বামী-ছেলেসহ চারজন অভিযুক্ত
সান্তনা রায় মিলি চক্রবর্তী

ঠাকুরগাঁওয়ের ‘প্রারম্ভিক কিন্ডারগার্টেন’ এর স্কুলশিক্ষিকা সান্তনা রায় মিলি চক্রবর্তী (৪৫) হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে উঠে এসেছে, পরকীয়ার জেরে মিলিকে হত্যা করা হয়েছে।

তিন বছর সাত মাস পর বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত শেষে মিলি চক্রবর্তীর স্বামী, ছেলেসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে ঠাকুরগাঁও সদর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল আমলি আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন।

- Advertisement -

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির এএসপি সুমিত চৌধুরী।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— সমির কুমার রায়, রাহুল রায়, স্বপন কুমার রায় ওরফে মানিক, আমিনুল ইসলাম সোহাগ।

সিআইডি জানিয়েছে, আমিনুল ইসলাম সোহাগের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্কুলশিক্ষিকা সান্তনা রায় মিলি চক্রবর্তী। মোবাইল ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তারা নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। মিলির ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড জানতেন তার ছেলে রাহুল রায়। একপর্যায়ে তিনি তার মায়ের মেসেঞ্জার চেক করে বিষয়টি জানতে পারেন এবং পরে তা তার বাবাকে জানান। এরপর থেকেই পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়।

২০২১ সালের ৮ জুলাই রাতে মিলির সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর ও বুকে আঘাত করা হয়, এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত ৩টার দিকে তাকে ঘর থেকে বের করে আনা হয়। এ সময় বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী তাদের জিজ্ঞাসা করলে স্বামী ও ছেলে জানান, মিলিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কিন্তু হাসপাতালে না নিয়ে তাকে বাড়ির পাশের একটি গলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর আগে মিলিকে মাথা ও বুকে আঘাত করা হয়েছিল।

২০২১ সালের ৮ জুলাই শহরের মোহাম্মদ আলী সড়কে নিজ বাসার পাশে মিলির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, তার বাবা ও স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেননি।

দুদিন পর ১০ জুলাই ঠাকুরগাঁও থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ ঘটনায় মিলির স্বামী সমির কুমার রায় ও তার ভাতিজা স্বপন কুমার রায় গ্রেপ্তার আছেন। ছেলে রাহুল রায় ও আমিনুল ইসলাম সোহাগ বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

সিআইডির এএসপি সুমিত চৌধুরী জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে মামলার তদন্ত কার্যক্রমে আসামিরা প্রভাব খাটিয়েছিল। ফলে চার্জশিট দাখিল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবে ৫ আগস্টের পর তদন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles