
ছবি সংগৃহীত
কখন ভোট হবে, কখন সংস্কার হবে, কে পাওয়ারে আসলো, কে পাওয়ারে আসলো না, আল্টিমেটলি আমরা এতকিছু জানতে চাই না। আমরা শুধুমাত্র চাই, আমাদের নিরাপত্তা। একথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও পোস্টে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে আমরা দেশের যে সার্বিক অবস্থা দেখছি, সেটা নিয়ে আমার মনে হয় আমাদের প্রত্যেকের কথা বলা উচিত। এবং আমি যদি সঠিক তথ্য পেয়ে থাকি এবং দেখে থাকি, যেটা আমি নিউজপেপারে দেখেছি, অনেক জায়গায় দেখেছি, অনেকে শেয়ার করেছে। গত ৪ দিনে ৫০ টিরও বেশি ধর্ষণ হয়েছে।
যেটা আমরা জানি অফিসিয়ালি এবং আনঅফিসিয়ালি আরো কত কি হয়েছে, সেটা কে জানেন। এবং এটাও দেখেছি যে, ধর্ষণকারীকে অনেকে মেরে ফেলেছে, আেইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইন নিজের হাতে কখন তুলে নেয়? যখন প্রসাশন কোনো সঠিক ব্যবস্থা না নেয়।
আমার মনে হয়, এখন হাইটাইম প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত। প্রশাসনের ইমিডিয়েটলি স্টেপ নেওয়া উচিত। যখনই কোনো ধর্ষণ দেখছে বা এরকম কিছু হচ্ছে, যেকোনো অপরাধ সাথে সাথে অ্যাকশন নেওয়া উচিত। পুলিশ বাড়ানো উচিত, যেভাবে হোক না কেন।
রাতে তো মানুষ এখন একা একা চলতে ভয় পাচ্ছে। সেটা যে শুধু ধর্ষণের কথা বলবো না, ইয়ং ইয়ং ছেলেরা যাচ্ছে, তাদেরকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়া হচ্ছে এবং ছিনতাই করা হচ্ছে।
এতো বেড়ে গিয়েছে যে একেবারেই কেউ নিরাপদ ফিল করছে না।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অবশ্যই ইমিডিয়েটলি মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রত্যেকটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
তার পাশাপাশি আমি বলতে চাই, মেয়েদের জন্য কিছু কথা বলতে চাই। আপনারা বিশেষ করে আমি বলবো ৭টি জিনিসের উপর নজর দেন। আপনারা অবশ্যই মাথায় রাখবেন কিছু বিষয়।
তার মধ্যে প্রথম বিষয় হচ্ছে, সর্তক থাকবেন। বিশেষ করে রাতে যখনই আপনারা বের হবেন, অনেকেই ওয়ার্কিং উইমেন আছে, অনেকে কাজের শেষে হয়তোবা নিচে হাটঁতে যাচ্ছেন, আমি যেরকম অনেক হাঁটি, তারা অনেক কেয়ারফুল থাকবেন।
দ্বিতীয়ত, আপনার বাউন্ডারি জানবেন, আপনি কতটুকু কার সাথে মেশা ঠিক হবে। যার সাথে মিশছেন সে আদৌ ঠিক পারসন কিনা। যেমন, বাইরে ফুলওয়ালা আছে, একটা ফুলের গন্ধ শুকতে বা কথা বলতে বলতে হেপ্টোনাইজ কেরে ফেলছে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
তৃতীয়ত, আমি বলবো আপনি যে লোকেশনে আছেন, সেটি আপনার ফ্যামিলি বা ফেন্ডসকে দিয়ে রাখেন, যাতে কোথায় আছেন। মফস্বল, গ্রাম এবং শহরে, অবশ্যই আপনি আপনার লোকেশন দিয়ে রাখবেন ফেন্ড বা ফ্যামিলির কাছে। আপনি যদি একা থাকেন বা একটা ফেন্ডের সাথে থাকলে ও আপনি দিয়ে রাখেন।
চতুর্থত, আমি বলবো সাথে একটা সেফটি টুলস রাখেন। এখন বিভিন্ন স্প্রে পাওয়া যায়, কিছু না পেলে আমি বলবো ওই যে, মরিচের গুড়া, কিছু একটা প্যাকেটে রাখেন। নাহলে এখন যে দিন চলে আসছে, আমার মনে হয়, মেয়েদের নিজেদের সেফটি নিজেদেরই এনশিউর করা খুবই ইম্পটেন্ট। সন্দেহজনক কোনো ব্যাক্তিকে দেখতে পেলে বা সন্দেহজনক কিছু দেখতে পেলে, আপনার পাশের কোনো মানুষ, আপনার ফেন্ড বা আপনার ফ্যামিলি বা পুলিশের সহায়তা নিবেন।
পিয়া জান্নাতুল বলেন, তারপরে বলবো যেকোনো কিছু হলে বা হওয়ার আগে, হলে তো হয়েই গেল, হলে তো স্টেপ তো নিবেই কিন্তু হওয়ার আগে, অবশ্যই আপনি আইনের সহায়তা নেন, ৯৯৯ এ ফোন দেন বা পুলিশকে ফোন দেন। আইনের লোককে জানান, আমাকে এইরকম এইরকম করে একজন ডির্স্টাব করছে। জিডি করেন, যেটাতে আপনি নিরাপদ ফিল করবেন, নিরাপদ নিশ্চিত করার জন্য আপনার যা যা দরকার আপনি সেটা করবেন।
সাত নাম্বার আমি বলবো, সাহসী হতে হবে। আমি জানি, আমাদের মতো দেশে সাহসী হওয়াটা ও মাঝে মাঝে ভয়ের কারণ হয়ে দাডাঁয়, বাট আপনার সাহসী হতে হবে এবং গলা উচুঁ করে বাচতে হবে এবং মানুষকে জানাতে হবে যে আপনি নিরাপত্তা চান এবং নিরাপত্তার প্রত্যেকটি অধিকার আপনার মধ্যে আছে, আপনার রাখতে হবে।
আপনার বেসিক রাইটস, একটা রাষ্ট্রের, প্রশাসনের বেসিক একটা কাজ হচ্ছে জনগণকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
কখন ভোট হবে, কখন সংস্কার হবে, কে পাওয়ারে আসলো, কে পাওয়ারে আসলো না, আল্টিমেটলি আমরা এতকিছু জানতে চাই না। আমরা শুধুমাত্র চাই, আমাদের নিরাপত্তা।