
নোভা স্কশিয়ায় গত তিন মাসে গৃহ বিবাদে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টিমেট পার্টনার সহিংসতার মূল কারণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তহবিল বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন এ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। নোভা স্কশিয়ায় গৃহ বিবাদে সর্বশেষ মৃত্যুটি ঘটে নতুন বছরের ঠিক আগে আগে। ৩৯ বছর বয়সী ম্যাথিউ কস্টেইন গুলি করে তার বান্ধবী ৪০ বছর বয়সী কোরা-লি স্মিথ ও তার বাবা ৭৩ বছর বয়সী ব্র্যাডফোর্ড ডাউনিকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নোভা স্কশিয়ার আইনসভা সেপ্টেম্বরে গৃহ বিবাদকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ডাউনির পাশাপাশি আরও চার নারী খুন হয়েছেন। সবগুলো ঘটনাতেই ঘাতক তাদের নারী পার্টনারদের হত্যার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করেন।
মেইনল্যান্ড নোভা স্কশিয়ার এলিজাবেথ ফ্রেই সোসাইটির পরিচালক এমা হ্যালপার্ন বলেন, প্রদেশজুড়ে এই মৃত্যু এই বার্তা স্পষ্ট করেছে যে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণাদাতাদের অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে সুনিদিষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে। গৃহ বিবাদ একটি মাহমারি। তাহলে এখন কী হবে? শুধু নাম দেওয়াই যথেষ্ট নয়।
শনিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এর সমাধান খুঁজে বের করতে লোকজনকে দক্ষতাসহ উপযুক্ত রসদ জোগান দিতে হবে। এটা সময়ের সমস্যা হতে পারে না। নারী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে কিছু অর্থ ছুড়ে দেওয়া এবং এরপর বেরিয়ে আসা।
আধুনিক কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গুলির ঘটনার তদন্তে গঠিত ইনকোয়ারি কমিশনের সুপারিশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেন হ্যালপার্ন। ২০২০ সালের ভয়াবহ ওই গুলি ঘটনায় ২২ জন নিহত হন। তদন্ত অনুযায়ী, ওই খুনীর গৃহ সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস ছিল।
এই আইনজীবী বলেন, কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে তা থেকে খুব কমই গ্রহণ করা হয়েছে। আসুন আমরা কমিশনের তদন্তে উঠে আসা সবগুলো বিষয়ই বিবেচনায় নিই।
কমিশনের সুপারিশের মধ্যে অন্যতম ছিল ভুক্তভোগীদের সহায়তা ও অপরাধীদের চিকিৎসা দেওয়া সেন্টারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে তহবিল জোগান দেওয়া। আশ্রযকেন্দ্র ও কাউন্সেলিং এজেন্সিগুলোকে যাতে নতুন অনুদানের জন্য প্রদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়।
হ্যালপার্ন বলেন, পার্টনারদের কাছ থেকে সহিংসতার মুখে থাকা লোকজনের জন্য আবাসনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিপদাপন্ন নারী ও তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদানকারী তার সংস্থাকে প্রায়ই নারী ও শিশুদেরকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখতে হয়।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.