
শক্তিশালী তুষার ঝড়ে নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর উপকূলের হাজার হাজার মানুষ রোববার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। অসংখ্য গাছ উপড়ে যায় ও ছোট ছোট বাড়িগুলো সমুদ্রে আছড়ে পড়ে।
সেন্ট জন’সের প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে উপকূলীয় একটি কমিউনিটির বাসিন্দা ইয়ান জিলিসের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, তিনি উত্তাল জল ও ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে প্রায় উড়ে যান। আমরা এখানে প্রায় ১৪ বছর ধরে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার দেখা এটাই সবচেয়ে উঁচু ঢেউ।
টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঢেউ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, তা ব্রেক ওয়াটার ছাপিয়ে যায়। এবং যে দ্বীপটিতে লোকজন সাধারণত হাঁটচলা করে সেখানে ঢেউ ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচু।
ঢেউয়ের তোড়ে বড় বড় পাথর স্থলভাগে চলে আসে এবং রাস্তাগুলো ঢেকে দেয়। জিলিস বলেন, যে প্লাউগুলো সাধারণত বরফ সরাতে ব্যবহৃত হয় সেগুলো এখন রাস্তা থেকে পাথর সরাতে ব্যবহরা করা হচ্ছে।
নিউফাউন্ডল্যান্ডের গার্ডেনারের বাইরে অবস্থিত এনভায়রনমেন্ট কানাডার আবহাওয়াবিদ রব ক্যারল বলেন, খুবই শক্তিশালী নি¤œচাপের কারণে বাতাসের গতিবেগ পৌঁছায় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার, বহু বছর যেমনটা দেখা যায়নি। এবং বোনাভিস্টা পেনিনসুলায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার।
তীব্র বাতাসের পাশাপাশি উপকূরেখায় সুউঁচ্চ কিছু ঢেউও ছিল বলে জানান ক্যারল। তিনি বলেন, উপকূল বরাবর ছোট ছোট ভবনগুলোকে আমরা পানিতে পড়ে থাকতে দেখেছি অথবা সেগুলো পানিতে ভেসে গেছে। সড়কের ওপর দিয়েও পানি আসতে দেখা গেছে। এর ফলে অসংখ্য পাথর রাস্তার ওপরে চলে এসেছে। অসংখ্য গাছও উপড়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা পরিস্কার হবে।